Uttar Pradesh

স্বামীকে ছেড়ে দিদির বরকে নিয়ে পালালেন দুই সন্তানের মা! কেন করলেন? ঘটনা শুনে স্তম্ভিত পুলিশও

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মথুরা শহরে। হরিয়ানার কারনালের বাসিন্দা এক মহিলা মথুরার নৌঝিল গ্রামের এক যুবককে বিয়ে করেছিলেন ১২ বছর আগে। দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫ ১৪:৫১
Share:
Woman from Uttar Pradesh elope with brother in law, what made her do so

—প্রতীকী ছবি।

বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের ঘটনার কথা মাঝেমধ্যেই খবরের শিরোনামে উঠে আসে। তার মধ্যে বেশ কিছু সম্পর্কের বুনট বেশ জটিল। কয়েকটি আবার সংবেদনশীল। সম্প্রতি তেমনই একটি ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশের মথুরা। বরকে ছেড়ে দিদির স্বামীর সঙ্গে ঘর ছাড়লেন এক মহিলা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাঁদের খোঁজ মিলল, থানা পুলিশও হল। কিন্তু একে অপরকে ছাড়তে কোনও ভাবেই রাজি হননি শ্যালিকা এবং জামাইবাবু।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মথুরা শহরে। হরিয়ানার কারনালের বাসিন্দা এক মহিলা মথুরার নৌঝিল গ্রামের এক যুবককে বিয়ে করেছিলেন ১২ বছর আগে। দম্পতির দুই সন্তান ছিল। পাঁচ বছর পর ওই মহিলার বোনের বিয়ে হয়। তাঁরও দুই সন্তান হয়। স্বামী-সন্তানদের নিয়ে দুই বোনের সংসার ভালই চলছিল। কিন্তু হঠাৎই একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন শ্যালিকা এবং জামাইবাবু। জমে ওঠে প্রেম।

পরিবারের সদস্যেরা জানতে পারলে অশান্তি হতে পারে ভেবে শ্যালিকা এবং জামাইবাবু— দু’জনেই ঘর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। প্রাথমিক ভাবে পরিবারের লোক জন তাঁদের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে ধন্দে পড়েন। অবশেষে রায়পুর রোডের একটি ইটভাটা থেকে খোঁজ মেলে দু’জনের। সেখানে শ্রমিক হিসাবে কাজ করছিলেন তাঁরা। ওই মহিলার দাদা তাঁদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইলেও তাঁরা রাজি হননি। মহিলা জানান, সম্পর্কে জামাইবাবুকে এখন আর দিদির স্বামী বলে মানতে রাজি নন তিনি। বরং জামাইবাবুকে তাঁর স্বামী বলেই দাবি করেন মহিলা। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যে যা-ই বলুক বা করুক না কেন তাঁরা একসঙ্গেই থাকবেন। কারণ তিনি জামাইবাবুকে ভালবেসে ফেলেছেন। এই নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা চলাকালীন হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন মহিলার দাদা এবং জামাইবাবু। বিষয়টি থানা অবধি গড়ায়।

Advertisement

বিষয়টি শুনে এবং বর্তমান পরিস্থিতি দেখে অবাক হয়ে যান পুলিশ আধিকারিকেরা। মধ্যস্থতার চেষ্টা সত্ত্বেও ছোট বোন তাঁর জামাইবাবুর সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। শৈলেন্দ্র সিংহ নামে উত্তরপ্রদেশের এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, পুলিশ বিষয়টির তদন্তে নেমেছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন শৈলেন্দ্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement