ক্রিকেটে গড়াপেটা। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ভারতীয় নাগরিক হলেও দীর্ঘ দিন ধরে তিনি থাকেন শ্রীলঙ্কায়। সেখানেই ম্যাচ গড়াপেটায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ওই যুবক। ফলে তাঁকে চার বছরের জেলের সাজা শুনিয়েছে শ্রীলঙ্কার একটি আদালত। পাশাপাশি তাঁকে আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম যোগী পটেল। দীর্ঘ দিন ধরে শ্রীলঙ্কায় ব্যবসার সূত্রে থাকতেন তিনি। ২০২৪ সালে শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে লেজেন্ডস লিগ টি২০ প্রতিযোগিতা হয়। সেই সময় তিনি ম্যাচ গড়াপেটার চেষ্টা করেছিলেন বলে প্রমাণিত হয়েছে আদালতে। সেই কারণে শ্রীলঙ্কার মাটালে শহরের একটি আদালত যোগীকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে।
যোগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক উপুল থরঙ্গা। তাঁর মাধ্যমে ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যোগী ম্যাচ গড়াপেটার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের পর গত বছর মার্চ মাসে যোগীকে গ্রেফতার করে আদালত। পরে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। তার পরেই শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালিয়ে যান যোগী।
আদালতে যোগীর আইনজীবীরা জানান, প্রাণসংশয় ছিল যোগীর। তাই তিনি পালিয়েছেন। আদালত এই যুক্তি মানেনি। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়, পটেলের বিরুদ্ধে যেন ইন্টারপোল পরোয়ানা জারি হয়। চাপে পড়ে আত্মসমর্পণ করেন যোগী। তাঁকে চার বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত।
২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কায় ক্রীড়াক্ষেত্রে দুর্নীতি রুখতে কড়া আইন আনা হয়েছে। সেই আইন অনুযায়ী কেউ দোষী প্রমাণিত হলে সর্বাধিক ১০ বছরের জেল বা সর্বাধিক সাড়ে চার কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এই ক্ষেত্রেও যোগীকে জরিমানা করা হয়েছে। তবে তার পরিমাণ কিছুটা কম। আড়াই কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে তাঁকে। পাশাপাশি সম্মানহানি করার জন্য থরঙ্গাকে ৫০ লক্ষ টাকা দিতে হবে যোগীকে।