—প্রতীকী ছবি।
অসহ্য পেটের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন তরুণী। রোগের কারণ খুঁজতে লেগে গেল প্রায় তিন মাস। সিটি স্ক্যান করার পর রিপোর্ট দেখে চমকে উঠলেন চিকিৎসকেরা। ওই তরুণীরা পেটের মধ্যে রয়েছে একটি তোয়ালে! সংবাদমাধ্যমসূত্রে খবর, সন্তান জন্ম দেওয়ার অস্ত্রোপচারের সময় ব্যবহৃত ছোট তোয়ালে পেটের মধ্যেই থেকে গিয়েছিল। তার থেকেই পেটে ব্যথা শুরু হয়ে যায় ওই তরুণীর। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের দিদওয়ানা কুচমান জেলায়।
সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, মাস তিনেক আগে দিদওয়ানা সরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মা হন ওই তরুণী। প্রসবের পর সেলাইয়ের জায়গায় ব্যথা শুরু হয় তাঁর। ব্যথা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে উঠে বসতেই পারতেন না। অজমের থেকে সিটি স্ক্যান করানোর পর চিকিৎসকেরা তরুণীর পেটে কিছুর উপস্থিতি লক্ষ করেন। পরিবারের সদস্যেরা তাঁকে জোধপুর এমসে নিয়ে যান। সেখানে ভাল ভাবে পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকেরা তাঁর পেটে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। তখনই একটি তোয়ালে খুঁজে পান তাঁরা। সেটি তরুণীর অন্ত্রে জড়িয়ে ছিল। সেটিকে সফল ভাবে বার করে আনেন চিকিৎসকেরা। ঘটনার পর দিদওয়ানা সরকারি হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ওই মহিলার পরিবার রাজস্থান হাই কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছে বলে জানা গিয়েছে। পরিবারের দাবি, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার কারণে নবজাতককে স্তন্যপান করাতে অপারগ ছিলেন ওই মহিলা। যার ফলে শিশু জন্ম থেকেই মাতৃদুগ্ধ থেকে বঞ্চিত। সে কারণে শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবারের সদস্যেরা। দিদওয়ানার চিফ মেডিকেল অ্যান্ড হেল্থ অফিসার (সিএমএইচও), অনিল জুদিয়া বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন বলে জানা গিয়েছে।