—প্রতীকী ছবি।
দেশের বাইরে চাকরি পেতে কেন ভারতীয় পড়ুয়াদের সমস্যা হয়? কেনই বা ভাল কর্মসংস্থানের জন্য রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয় তাঁদের? উত্তর দিলেন ব্রিটেনের এক অধ্যাপক। উচ্চশিক্ষার জন্য ব্রিটেনে এসে ভারতীয় পড়ুয়াদের কী কী সমস্যায় পড়তে হয় তা নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। তাঁর ওই সব বক্তব্যকে নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে সমাজমাধ্যমে।
ব্রিটেনের ওই অধ্যাপক সমাজমাধ্যম রেডিটে পোস্ট করে দাবি করেছেন, সঠিক জনসংযোগের অভাব, ঠিক মতো পড়াশোনা না করা এবং আংশিক সময়ের চাকরির উপর অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়ার কারণেই পরবর্তী কালে সমস্যায় পড়তে হয় ভারতীয় পড়ুয়াদের।
ওই অধ্যাপক উল্লেখ করেছেন, বেশির ভাগ ভারতীয় পড়ুয়া ভাল চাকরি এবং পাকাপাকি ভাবে বসবাসের লক্ষ্যে ব্রিটেনে এক বছরের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে আসেন। তবে তাঁদের অনেকেই ব্যর্থ হন। তাঁর দাবি, ভারতীয় পড়ুয়ারা নাকি বুঝতে পারেন না যে ব্রিটেনে চাকরি করলেই সেখানে নিশ্চিত ভাবে চাকরির সুযোগ পাওয়া যায় না।
অধ্যাপক সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘শুধু ডিগ্রি থাকলেই হয় না। নিয়োগকর্তারা চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে আরও অনেক কিছু চান।’’ প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে নিজেকে প্রমাণ করতে পড়ুয়াদের জনসংযোগের ক্ষমতা, আত্মবিশ্বাস, দূরদর্শিতা এবং চিন্তাভাবনার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি এ-ও দাবি করেছেন, সে সব দিকে মন না দিয়ে ভারতীয় পড়ুয়ারা অর্থ উপার্জন করতে আংশিক সময়ের চাকরির দিকে বেশি মন দেন। আর তা করতে গিয়ে পড়াশোনা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অবহেলা করেন। আর সে কারণেই চাকরি পেতে সমস্যা হয় তাঁদের।
অধ্যাপকের দাবি, অনেক পড়ুয়া ক্লাসরুমে নিষ্ক্রিয় থাকেন। আলোচনা বা বিতর্ক চলাকালীন চুপচাপ থাকেন এবং ভারতীয়দের বাইরে কারও সঙ্গে মেশেন না। আর এই আচরণ চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের জন্য পরিপন্থী হয়ে ওঠে বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি যে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের পড়াই, তাঁদের বেশির ভাগের মৌলিক জনসংযোগ দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস এবং কৌতূহলের অভাব রয়েছে। তাঁরা লাজুক, সংযত এবং নিষ্ক্রিয়। এটি একটি গুরুতর সমস্যা। কারণ যুক্তরাজ্যের নিয়োগকর্তারা সক্রিয়, সুভাষী এবং মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এমন প্রার্থীদের সুযোগ দেন।’’
গত ২৩ মার্চ রেডিটে ওই পোস্টটি করেন ব্রিটেনের ওই অধ্যাপক। তাঁর সেই পোস্ট ঘিরে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকেই তাঁর ভাবনার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন।