ঝাড়খণ্ডের ‘সর্পকন্যা’! ছবি: সংগৃহীত।
নিখোঁজ হয়েছিলেন তিন মাস আগে। ফিরলেন ‘সাপ’ হয়ে। এমনটাই ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের এক তরুণীর সঙ্গে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাস তিনেক আগে ওই তরুণী নিখোঁজ হয়ে যান। রবিবার তাঁর খোঁজ মেলে। ঝাড়খণ্ডের গড়বা জেলার কারিওয়াদি গ্রামের রানিডিহ গুপ্ত গুহা থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁকে। তবে তাঁকে উদ্ধারের সময় চমকে যান স্থানীয়েরা। দেখেন, ‘সাপে’ পরিণত হয়েছেন ওই তরুণী। সাপের মতো মাটিতে শুয়ে এঁকেবেঁকে এ দিক ও দিক যাচ্ছেন। হিসহিস আওয়াজ করে জিভও বার করছেন। পুরো ঘটনাটির ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, তরুণীর খোঁজ পাওয়ার পর গুহার মুখে ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয়েরা। ভিতরে সাপের মতো শুয়ে ওই তরুণী। মুখে হিসহিস আওয়াজ করছেন। মাঝেমধ্যে জিভও বার করছেন। তবে গুহা থেকে বেরোতে চাইছেন না।
বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয়েরা ওই তরুণীর পরিবারকে খবর দিলে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তবে বাবা-মাকে দেখেও গুহা থেকে বার হতে রাজি হননি তরুণী। অবশেষে গুহার বাইরে স্থানীয়েরা পুজো শুরু করলে রবিবার গভীর রাতে তিনি গুহা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। এর পর থেকে রীতিমতো ‘সর্পকন্যা’কে নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে ওই এলাকায়। নিত্যদিন তাঁকে পুজোও করা হচ্ছে।
নিখোঁজ হওয়ার পর কী ভাবে ওই গুহায় পৌঁছলেন তরুণী? কেনই বা সাপের মতো আচরণ করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সমাজমাধ্যমে। সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের একাংশের মতে মানসিক অসুস্থতার কারণে অদ্ভুত আচরণ করছেন তরুণী। কেউ কেউ ঘটনাটিকে অলৌকিক বলে দাবি করেছেন। তবে অন্য একাংশের দাবি, পুরো ঘটনাই সাজানো। মানুষকে নিছক বোকা বানানোর জন্য ওই তরুণীকে দিয়ে ওই কাণ্ড ঘটিয়েছেন কেউ বা কারা।