ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন্ উপলক্ষে ঘুঘু ওড়ানো হচ্ছিল। তবে সরকারি আধিকারিকের ওড়ানো ঘুঘু উড়ল না। গোত্তা খেয়ে পড়ল মাটিতে। ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন হয়ে উঠল ওয়েব সিরিজ় ‘পঞ্চায়েত-৩’-এর দৃশ্য। ছত্তীসগঢ়ের মুঙ্গেলির ঘটনা। পুরো ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
‘পঞ্চায়েত’ ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ়। কৌতুকে ভরা এই সিরিজ়টির তৃতীয় সিজ়ন মুক্তি পেয়েছে মাসতিনেক হল। সেখানেই একটি দৃশ্যে দেখা গিয়েছিল ফুলেরা গ্রামের সঙ্গে ‘শান্তি প্রস্তাব’ করতে গিয়ে পায়রা ওড়াতে চেয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক। এর পর বিধায়ক যেই ‘গো কবুতর গো’ বলে পায়রাটি ওড়াতে যাবেন, তখন সেটি আকাশে না গিয়ে সোজা মাটিতে পড়ে যায়। হাত দিয়ে অতিরিক্ত চাপ দেওয়ার কারণেই পায়রাটি উড়ার ক্ষমতা হারিয়েছিল। সেই নিয়ে হইচইও হয়। সিরিজ়ের এই নির্দিষ্ট দৃশ্যটি বিশেষ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। প্রায় একই রকম দৃশ্য বাস্তবেও দেখা গেল মুঙ্গেলির শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় স্টেডিয়ামে।
৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ওই স্টেডিয়ামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে স্থানীয় নেতা-সহ পুলিশ আধিকারিকদের ঘুঘু ওড়ানোর কথা ছিল মঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী পুন্নুলাল মোহলে মুঙ্গেলি এবং জেলাশাসক রাহুল দেও। প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বিধায়ক এবং জেলাশাসক ঘুঘু ওড়ানোর পর পুলিশ সুপার (এসপি) গিরিজা শঙ্কর জয়সওয়ালও শান্তির প্রতীক হিসাবে ঘুঘুটি ওড়াতে যান। কিন্তু পাখিটি না উড়ে সোজা মাটিতে গিয়ে পড়ে। মঞ্চে উপস্থিত সকলেই হতভম্ব হয়ে যান। একে অপরের দিকে তাকাতে থাকেন। এই ঘটনার পর মঙ্গলবার জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে পুরো বিষয়টি জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন ওই পুলিশ সুপার। যাঁদের জন্য এমনটা ঘটেছে তাঁদের শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন।
সমাজমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই বহু মানুষের নজর কেড়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিডিয়োটি দেখেওছেন। অনেকে মন্তব্যও করেছেন মজার মজার। তবে প্রায় সকলেই ‘পঞ্চায়েত-৩’-এর দৃশ্যের উল্লেখ করেছেন ভিভিয়োয়।