ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
চলন্ত ট্রেনের মেঝেয় যাত্রীকে ফেলে বেল্ট দিয়ে একের পর এক মার। টিকিট পরীক্ষক এবং রেলকর্মীর এ-হেন কাণ্ডে শোরগোল। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে আম্রপালি এক্সপ্রেসের মধ্যে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মত্ত অবস্থায় মজিবুল নামের ওই যাত্রীর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয় দুই রেলকর্মীর। সেই সময় নাকি টিকিট পরীক্ষক রাজেশ কুমারকে চড় মারেন মজিবুল। এর পরেই এক রেলকর্মী ওই যাত্রীর উপর চড়াও হন। মারধর করেন টিকিট পরীক্ষকও। যাত্রীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দুই রেলকর্মী এবং টিকিট পরীক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে রেলপুলিশ। বরখাস্ত করা হয়েছে ওই টিকিট পরীক্ষককে।
রেলপুলিশের এসএইচও সুশীল কুমার জানিয়েছেন, ট্রেনের মধ্যে দুই রেলকর্মীর সঙ্গে আলাপ হয় মজিবুলের। তাঁরা একসঙ্গে মদ্যপান করেন। কিন্তু মত্ত অবস্থায় বাগ্বিতণ্ডা শুরু হলে ওই যাত্রী টিকিট পরীক্ষককে চড় মেরে বসেন। আর তার পরেই মারধর করা হয় ওই যাত্রীকে।
ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, চলন্ত ট্রেনের মধ্যে উপুড় করে শুইয়ে রাখা হয়েছে এক যাত্রীকে। তিনি যাতে পালাতে না পারেন, তাই তাঁর মাথা জোর করে চেপে ধরে রাখা হয়েছে। বেল্ট নিয়ে ওই যাত্রীর নিতম্ব এবং পিঠে একের পর এক আঘাত করে চলেছেন এক রেলকর্মী। সঙ্গে চলছে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ। ভিডিয়োয় ওই যাত্রীর গায়ে লাথি মারতেও দেখা গিয়েছে টিকিট পরীক্ষককে।
ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। রেলকর্মীদের আচরণে ক্ষুব্ধ জনগণ তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন। নেটাগরিকদের একাংশের দাবি, যদি ওই যাত্রী কোনও ভুল করেও থাকেন, তা হলে রেলকর্মীদের উচিত ছিল তাঁকে রেলপুলিশের হাতে তুলে দেওয়া। কোনও যাত্রীকে এ ভাবে মারধর করার এক্তিয়ার রেলকর্মীদের নেই। এক নেটাগরিক ভিডিয়ো দেখে লিখেছেন, ‘‘এঁরা রেলের কর্মচারী না রেলের গুন্ডা?’’ অন্য এক জন লিখেছেন, ‘‘কেউ যদি কোনও ভুল করে থাকেন, তা হলে রেলপুলিশকে জানানো উচিত ছিল বা পরবর্তী স্টেশনে নামিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু এ সব কী?’’