ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
এজলাসে বসে মামলা শুনছিলেন বিচারক। সামনে বসেছিল বাদী এবং বিবাদী পক্ষ। বসেছিলেন অভিযুক্তও। হঠাৎই চিৎকার করে উঠলেন তিনি। এক লাফে কাঠের দেওয়াল টপকে গিয়ে বিচারকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন! এলোপাথাড়ি চড়-ঘুষিও চালালেন। চাঞ্চল্যকর এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে লাস ভেগাসের এক আদালতে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিচারকের উপর হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত যুবককে কয়েক দশকের সাজা শোনানো হয়েছে। বিচারকের উপর ওই যুবকের হামলার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, লাস ভেগাসের ক্লার্ক কাউন্টি জেলা আদালতের বিচারক মেরি কে হোলথাসের উপর মঙ্গলবার এই হামলা চালানো হয়। তাঁকে মারধর করেন ডেবরা রেডডেন নামে অভিযুক্ত যুবক। হত্যার চেষ্টা ও অন্যান্য অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মামলায় সেপ্টেম্বর মাসেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এ-ও জানানো হয়েছিল যে, তিনি মানসিক ভাবে বিকারগ্রস্ত। এখন বিচারককে মারধর করার অভিযোগে ২৫ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে তাঁকে কারাবাসের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ৪ ফুট উঁচু বেঞ্চের উপর দিয়ে লাফিয়ে এজলাসে পৌঁছে যান রেডডেন। এর পরেই বিচারক হোলথাসের চুল ধরে তাঁকে মাটিতে ফেলে দেন। কিল-চড়-ঘুষিও মারতে থাকেন। পুলিশ এবং আদালতের আধিকারিকেরা অনেক কষ্টে তাঁকে নিরস্ত করেন। ‘বিএনও নিউজ়’-এর এক্স হ্যান্ডল থেকে সেই ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মারের চোটে আহত হয়েছেন বিচারক হোলথাস। যদিও তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়নি বলে খবর। রেডডেনকে যাঁরা আটকাতে গিয়েছিলেন তাঁদেরও কেউ কেউ আহত হন। বিচারক হোলথাস জানিয়েছেন, রেডডেন তাঁকে আক্রমণ করার সময় তিনি মৃত্যুভয় পেয়েছিলেন। অন্য দিকে, রেডডেনের আইনজীবী কার্ল আর্নল্ডের দাবি, রেডডেনের ‘সিজ়োফ্রেনিয়া’ রয়েছে, এবং তিনি কয়েক দিন ধরে ওষুধ খাচ্ছিলেন না। ওই কারণেই তিনি এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবী।