—প্রতীকী ছবি।
দু’জনেই বিবাহিত। দু’জনের ছেলেমেয়েই একই স্কুলে পড়ে। ছেলেমেয়েরা যে স্কুলে পড়াশোনা করে, সেই স্কুলের চ্যাট গ্রুপ থেকেই আলাপ হয় দু’জনের। সন্তানদের হোমওয়ার্ক নিয়ে কথা বলবেন বলে আলাদা ভাবে চ্যাট করাও শুরু করেন দুই অভিভাবক। কিন্তু সেই কথোপকথন আর সন্তানদের হোমওয়ার্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। বরং তা ছড়িয়ে পড়ে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের চাওয়া-পাওয়ার জগতেও। একে অপরকে ভালবেসে ফেলেন তাঁরা। তাই সংসার ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
ঘটনাটি মধ্য চিনের হেনান প্রদেশে ঘটেছে। তরুণীর নাম জ়াং এবং তরুণের নাম ওয়েন। বিয়ের অনলাইন ঘটকালির সংস্থা থেকে বিয়ে হয়েছিল জ়াঙের। চার সন্তান রয়েছে তাঁর। কিন্তু বৈবাহিক জীবন সুখের ছিল না তাঁর।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বিয়ের পর শারীরিক এবং মানসিক হেনস্থার শিকার হতে থাকেন জ়াং। সেই সম্পর্কে সুখী ছিলেন না তিনি। অন্য দিকে, ওয়েন দুই সন্তানের পিতা। স্ত্রী এবং দুই সন্তান নিয়ে সংসার তাঁর। কিন্তু মনে মনে তিনি ভালবাসেন জ়াংকে। তাই দু’জনে নিজেদের সংসার ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কাউকে কিছু না জানিয়ে তিয়াংজিনে চলে যান দু’জনে। পাঁচ বছর সেখানেই থাকেন তাঁরা। জ়াং যখন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তখন আবার হেনানে ফিরে যান জ়াং এবং ওয়েন। বিবাহবিচ্ছেদের পর জ়াং এবং ওয়েন নতুন করে সংসার শুরু করবেন বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুই অভিভাবক।