তিমির পেট থেকে সোনা উদ্ধার। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সৈকতে ভেসে এসেছিল এক বিরল জাতের তিমির মৃতদেহ। সেই দেহ উদ্ধারের পর তিমির মৃত্যুর কারণ খুঁজতে গিয়ে চমকে গেলেন উদ্ধারকারীরা। ময়না তদন্তের পর দেখা গেল, তিমির পেটের ভিতরে রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। আর সেই বহুমূল্য সম্পদই তিমিটির মৃত্যুর কারণ।
ক্যানারি দ্বীপের লা পালমায় নগালেস সৈকতে পড়েছিল তিমিটির দেহ। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, এটি বিরল প্রজাতির স্পার্ম হোয়েল। পৃথিবীতে যত তিমি রয়েছে, স্পার্ম হোয়েলের সংখ্যা তার মাত্র এক শতাংশ।
নগলেস সৈকতের তিমিটিকে প্রাথমিক পরীক্ষা করে হজমজনিত সমস্যার কিছু প্রমাণ পান চিকিৎসকেরা। আরও বিশদে পরীক্ষা করার জন্য এর পর তিমিটির পচন তন্ত্রটির পরীক্ষা করেন তাঁরা। দেখা যায় সেখানে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ কেজি ওজনের একটি পাথর। যার দাম না হক ৪৪ কোটি টাকা!
কী এমন রয়েছে ওই পাথরে? চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই পাথর আদতে স্পার্ম তিমির বমি। যা এতটাই বিরল এবং দামি যে তাকে সমুদ্রে ভাসমান সোনা বলা হয়। সুগন্ধি তৈরি করা থেকে শুরু আরও নানা শিল্পে ব্যবহার হয় এই তিমির বমি। যার চাহিদা আকাশছোঁয়া। নাম অ্যাম্বারগিস।
এই ধরনের স্পার্ম হোয়েল সাধারণত যে ধরনের সামুদ্রিক প্রাণী খেয়ে উদরপূর্তি করে, তার অনেকটাই হজম করতে পারে না। এই হজম না হওয়া অংশ তিমির পেটে জমতে থাকে। কালে ক্রমে তা পাথরের মত কঠিন হয়। আকারেও বাড়তে থাকে এই অ্যাম্বারগিস। কখনও সখনও খুব বেশি আয়তনে বেড়ে গেলে তিমি মাছের পাচনতন্ত্রের প্রত্যঙ্গ ছিঁড়ে বেড়িয়ে আসে সেটি। মৃত্যু হয় তিমি মাছটির। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।