ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
এ শিঙাড়া কাচের শোকেসের উপরে বেতের ঝুড়িতে শালপাতার চাদরের ঢাকা দেওয়া থাকে না। এ শিঙাড়ার দেখা মেলে রাস্তায়। সাইকেলের পিছনে বাঁধা ঝুড়িতে চাপিয়ে হাঁক দিয়ে ফেরি করে বেড়ান ফেরিওয়ালারা। আকারে ছোট, তবে দেখনদারিতে কম যায় না। বরং দেখলে বোঝা যায়, স্বাদে বহু নোনতা খাবারকে পিছনে ফেলে দিতে পারে এ।
ঠিকানা খাস নিজামদের শহর। হায়দরাবাদ। যদিও এই শিঙাড়ার সঙ্গে হায়দরাবাদের পুরনো শাসকের কোনও সম্পর্ক ছিল বলে জানা নেই। তবে এই শিঙাড়া নেহাত নতুন পদও নয়। হায়দরাবাদ শহরে এই শিঙাড়া বহুদিন ধরে বিক্রি হয়ে আসছে ঠিক এমনি ভাবেই।
তবে ইতিহাস যা-ই হোক কেতায় পিছিয়ে নেই এই খাবার। সাইকেলের পিছনের ঝুড়ি থেকে মিনিটে চলে আসে খবরের কাগজের চোঙায়। চোঙা প্রতি ছ’টি শিঙাড়ার উপরে ছড়িয়ে দেওয়া হয় মশলা তার পরে ভাজা লঙ্কা। আকারে অনেকটাই ছোট। আমাদের অভ্যস্ত চোখে এমন চারটি শিঙাড়ায় একটি হয়। তবে ছোট বলে পুর নেই তা নয়। ওই টুকু মোড়কেই ভরা থাকে লালচে মশলা। যা দেখে বলা যায়, খেতে মন্দ হবে না হয়তো।