ছবি: সংগৃহীত।
পরোটা ভাজা হচ্ছে ডিজ়েলে! সেই ভিডিয়ো আগুনের গতিতেই ছড়িয়ে পড়েছিল ইন্টারনেটে। তাতে স্পষ্ট দেখানো হয়েছিল, রাঁধুনি গরম তাওয়ায় পরোটা সেঁকে তার উপর ঢেলে দিচ্ছেন লিটার খানেক গাঢ় কালচে রঙের তেল। নেপথ্যে ফুড ব্লগারকে বলতে শোনা যাচ্ছিল এই পরোটা হল ‘ডিজ়েলওয়ালা পরোটা’।
ভিডিয়ো দেখার পর নেটাগরিকেরা রে রে করে উঠেছিলেন। অনেকে এ-ও বলেছিলেন, এই পরোটা হল শরীরে ক্যানসার বাধানোর সহজ রাস্তা। বিপদে পড়েছিলেন ওই ধাবার মালিকও। দীর্ঘদিনের খাবারের ব্যবসা লাটে ওঠার অবস্থা হয়েছিল তাঁর। কারণ তাঁর ধাবায় আদপেই ডিজ়েলের পরোটা তৈরি হয় না। কিন্তু সে সব আর কে দেখতে গিয়েছে।
ফুড ব্লগারের বক্তব্য তত ক্ষণে গোটা দেশ দেখে ফেলেছে এবং বিশ্বাসও করেছে। কারণ ভিডিয়োয় রাঁধুনি নিজেকেই ধাবার মালিক বলে দাবি করে জানিয়েছেন, ১৫ বছর ধরে তিনি এই পরোটা ভাজছেন। এমনই এই খাবারের চাহিদা যে প্রতিদিন ২০০-৩০০ করে পরোটা ভাজতে হয়।
এ ব্যাপারে সংবাদ সংস্থা এএনআই ধাবার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ধন্ধ কাটে। ধাবার মালিক চন্নি সিংহ ওরফে বাবলু জানান, এক ফুড ব্লগারের জন্যই ভুল বোঝাবুঝির সূত্রপাত। ওই ফুড ব্লগার ধাবার এক কর্মীকে দিয়ে ওই পরোটার ভিডিয়ো করেন। কিন্তু ভিডিয়োয় যা দেখানো হয়েছিল, তা কোনও অংশ সত্যি নয়। তাঁর ধাবায় পরোটা ভাজা হয় ভাল তেলে স্বাস্থ্যকর ভাবে।
চণ্ডীগড়ের ওই ধাবার নাম বাবলু ধাবা। ধাবার মালিক চন্নি ওরফে বাবলুর নামেই। (যদিও ভাইরাল ভিডিয়োয় রাঁধুনিকে নিজেকে বাবলু বলে দাবি করতে শোনা গিয়েছিল।) চন্নি জানিয়েছেন, তাঁর ধাবায় ডিজেল পরোটা বলে কোনও খাবারই রাঁধা হয় না। গোটাটাই ওই ফুড ব্লগারের মস্তিষ্ক প্রসূত। তবে ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পরে তিনি সেই ভিডিয়ো ডিলিট করে দেন। দোকানের মালিকের কাছে এবং নেটাগরিকদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন।