—প্রতীকী চিত্র।
ঘ্রাণে নাকি অর্ধেক ভোজন হয়! কিন্তু দর্শনেও কি ভোজন হয়? ইদানীং ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম খুললেই চোখে পড়ে নানা রকম খাবার তৈরি বা রেস্তরাঁয় খাওয়া দাওয়ার ভিডিয়ো। সেই সব দেখে আর কিছু না হোক মনের খিদে তো মেটেই। পেটের খিদে যদিও চাগাড় দেয়। আবার খাবার নিয়ে অদ্ভুত পরীক্ষা নীরিক্ষা দেখে খাদ্য প্রেমীরা বিস্মিতও হন। সম্প্রতি তেমনই একটি খাবারের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজ মাধ্যমে।
ভিডিয়োটি একটি রাস্তার ধারের খাবারের দোকানের। দোকানী তথা রাঁধুনী সেখানে যা তৈরি করছেন সেটি কোনও একটি পদ নয়। বরং দু’টি পদের মিশ্রণ। সেই দুই পদ আবার দু’ দেশের। একটি ইতালির। অন্যটি খাঁটি ভারতীয়। একটি পিৎজা। অন্যটি আলুর পরোটা। দুইয়ে মিলে আলু পরোটা পিৎজা বানিয়েছেন রাঁধুনী। তবে ওই পরোটা পিৎজা দেখে চমকে গিয়েছেন খাদ্য প্রেমীরা।
প্রথমে সাধারণ আলুর পরোটার মতোই পুর ভরে তৈরি করা হচ্ছে ময়দার লেচি। তার পর সেটি মোটা প্রস্থে বেলে নিয়ে ভাজা হচ্ছে দেশি ঘিয়ে। এ ভাবেই তৈরি হচ্ছে ইতালীয় পিৎজার দেশি ‘পিৎজা বেস’। অর্থাৎ যার উপর সাজিয়ে দেওয়া হবে পিৎজার টপিং—চিজ, সস, মশলাপাতি ইত্যাদি। এর পর ধীরে ধীরে নিজের বিশেষ রূপ পায় পরোটা পিৎজা। পরিবেশন করা হয় স্টিলের প্লেটে তিন রকম দেশি চাটনি সহযোগে।
এই ভিডিয়ো দেখে অবাক খাদ্য প্রেমীরা। অনেকে বলেছেন, ‘‘যে জিনিসটা যেমন সেটা তেমন ভাবে খেতে আপত্তি কীসের?’’ কেউ আবার কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘‘এই জগাখিচুড়ি রেসিপি আবিষ্কার করার আগে না জানি কত বিনিদ্র রাত কাটিয়েছেন ওই রাঁধুনী?’’ আবার অনেকে বিক্রেতার সৃষ্টিশীলতার প্রশংসাও করেছেন। তাঁরা লিখেছেন, পিৎজার বেসে চিজ বা মাংসের পুর দিয়ে চিজ বার্স্ট পিৎজা হলে আলু বার্স্ট পিৎসা হতে আপত্তি কোথায়!