Bizarre

বসবাস শিকাগোয়, বছরে এক বার হাজিরা! আট বছর ধরে বেতন তুলছেন শিক্ষিকা

স্কুলে দীর্ঘ অনুপস্থিতি সত্ত্বেও নিয়ম করে বেতন নিয়ে চলেছেন গুজরাতের এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষিকা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৪ ১০:৪৬
Share:

(বাঁ দিকে) গুজরাতের বনসকাঁঠা জেলার পঞ্চা গ্রামের প্রাথমিক স্কুল। স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা ভাবনাবেন পটেল (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

পাকাপাকি ভাবে এ দেশ ছেড়ে আমেরিকাবাসী, অথচ আট বছর ধরে স্কুলে হাজিরা না দিয়েও প্রতি মাসের বেতন তুলে যাচ্ছেন গুজরাতের এক শিক্ষিকা। গুজরাতের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষিকা গত আট বছর ধরে আমেরিকার শিকাগোয় বসবাস করছেন এবং ভারত থেকে সরকারি বেতন নিচ্ছেন। এই অভিযোগ তুলেছেন ওই স্কুলেরই আধিকারিক ও অভিভাবকেরা। গুজরাতের বনসকাঁঠা জেলার পঞ্চা গ্রামের একটি প্রাথমিক স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা ছিলেন ভাবনাবেন পটেল। ২০১৩ সাল থেকে আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে গিয়েছেন তিনি, পেয়েছেন সে দেশের গ্রিন কার্ডও।

Advertisement

ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দাবি করেছেন যে, দীর্ঘ অনুপস্থিতি সত্ত্বেও নিয়ম করে বেতন পেয়ে চলেছেন ভাবনা। তাঁর অনুপস্থিতি সত্ত্বেও, স্কুলের তালিকায় ভাবনাবেনের নাম রয়ে গিয়েছে। প্রতি বছর মাত্র এক মাসের জন্য এ দেশে আসেন তিনি। আমেরিকায় বসবাসের কারণে অননুমোদিত ছুটিতে যাওয়া সত্ত্বেও ওই শিক্ষিকা স্কুলের বেতন পাচ্ছেন। সাধারণত দীপাবলির সময় গুজরাতে আসেন ওই শিক্ষিকা এবং প্রতি বছরই সেই সময় স্কুল বন্ধ থাকে। এই সংক্ষিপ্ত সময়ে তিনি স্কুলে যান না বা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না তাঁর।

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক পারুলবেনের অভিযোগ, ২০১৩ সাল থেকেই ভাবনা আমেরিকার বাসিন্দা । পটেলের দীর্ঘ অনুপস্থিতির বিষয়টি যখন তাঁর নজরে আসে, তখন তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। শিক্ষার্থীরাও জানিয়েছে যে, তারা প্রধানশিক্ষিকাকে অন্তত দু’বছর ধরে দেখেইনি। প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ভাবনা শেষ বার ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে স্কুলে এসেছিলেন এবং ২০২৪-এর শুরু থেকে অবৈতনিক ছুটিতে রয়েছেন। শিক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা তাঁকে অনুপস্থিতির কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement