একটি ভাইরাল ভিডিয়োয় বন্দি হয়েছে দৃশ্যটি। ছবি : টুইটার থেকে।
চেনের একটা দিক শক্ত করে গলায় বাঁধা। অন্য দিক আটকে দেওয়া হয়েছে চলন্ত গাড়িতে। শহরের ব্যস্ত রাজপথ দিয়ে সেই গাড়িই পূর্ণ গতিতে ছুটছে। যান্ত্রিক বেগের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে কখনও আছড়ে-পিছড়ে মাটিতে পড়ছে, কখনও ধাক্কা খাচ্ছে, তার পর উঠে ফের দৌড়চ্ছে একটি কুকুর!
গাড়িটি চালাচ্ছিলেন এক চিকিৎসক। কুকুরটি কিছু দিন আগে তাঁরই বাড়ির পাশে নিয়মিত থাকতে শুরু করেছিল । বার বার তাড়িয়ে দিলেও যেতে চায়নি। এই অযাচিত ‘বন্ধুত্ব’ থেকে নিষ্কৃতি পেতেই এমন শাস্তির ব্যবস্থা! পুলিশকে ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি কুকুরটিকে বাড়ি থেকে অনেক দূরে ছেড়ে আসতে চেয়েছিলেন। তাই ও ভাবে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
ঘটনাটি রাজস্থানের। অমানবিক ওই অত্যাচারের হাত থেকে কুকুরটিকে উদ্ধার করেন এক স্থানীয় বাইক আরোহী। গাড়িতে করে টেনে নিয়ে যাওয়া কুকুরটিকে দেখে তিনিই চিকিৎসককে গাড়ি থামাতে বাধ্য করেন এবং কুকুরটিকে বাঁধন মুক্ত করেন। যদিও তত ক্ষণে শরীরে অজস্র আঘাত পেয়েছে কষ্টের কথা বলতে না পারা প্রাণীটি। গুরুতর জখমের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় তাকে।
স্থানীয়রাই একটি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে তাতে হাসপাতালে নিয়ে যায় কুকুরটিকে। খবর দেওয়া হয় পথ কুকুরদের দেখভালের সংগঠনকেও। পরে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে পশু নির্যাতনের অভিযোগ জানিয়েছি সংগঠনটি।
পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই চিকিৎসকের নাম রজনীশ গালওয়া। তিনি জোধপুরের বাসিন্দা। আপাতত ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পশু নিগ্রহ আইনে মামলা করা হয়েছে।