অজগরের কামড়ের পর যুবকের স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
স্ত্রীকে কামড়েছিল অজগর। দেখা মাত্রই অজগরকে ধরে বস্তায় ভরলেন যুবক। এতেই শেষ নয়! সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রী এবং অজগরকে বস্তায় বন্দি করে হাসপাতালে ছুটলেন তিনি। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যুবকের বস্তা থেকে অজগরকে দেখে হুড়োহুড়ো শুরু হয়ে যায়। এমন কাণ্ডই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের জেলা হাসপাতালে। সোমবার এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে।
ওই যুবকের নাম নরেন্দ্র। তিনি উন্নাওয়ের বাসিন্দা। গত শনিবার রাতে তাঁর স্ত্রী কুসুমকে কামড়ায় একটি অজগর। সেই সময় গৃহস্থালীর কাজ করছিলেন কুসুম। স্ত্রীর চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পরিবারের বাকি সদস্যরা। এর পরই অজগরকে ধরে বস্তায় ভরেন যুবক। তার পর সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রী এবং অজগরকে নিয়ে হাসপাতালে যান তিনি।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তুষার চৌরাসিয়া যখন যুবকের কাছ থেকে জানতে চান যে, তাঁর স্ত্রীকে কোন সাপ কামড়েছে, সেই সময় সোজা বস্তা খুলে অজগরটিকে দেখান তিনি। হাসপাতালের মধ্যে অজগর দেখে তখন আতঙ্কে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায় চিকিৎসক এবং কর্মীদের মধ্যে। যুবকের স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অজগরের বিষ নেই বললেই চলে। বর্তমানে যুবকের স্ত্রী সুস্থ রয়েছেন। পরে ওই অজগরটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেন ওই যুবক।
এমন ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। গত বছর উত্তরপ্রদেশের কুশীনগরে এক যুবককে ছোবল মেরেছিল কিং কোবরা। তার পরই সাপটির মৃত্যু হয়। সেই সময় সাপটিকে হাসপাতালে ছুটেছিলেন ওই যুবক। চলতি বছরের মার্চ মাসে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায় এক যুবককে সাপ কামড়েছিল। পরে সেই সাপকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন যুবক। এর আগে, ২০১৯ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে এক যুবককে ছোবল মেরেছিল একটি কালাচ সাপ। ওই যুবকও সাপটিকে মেরে প্লাস্টিকে করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন।