ইউপিআই ব্যবহার করে জগন্নাথ মূর্তি কিনলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: সংগৃহীত
টেবিলে সাজানো জগন্নাথ মূর্তি দেখেই তা পছন্দ করে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সঙ্গে টাকা নেই। আরাধ্য দেবতাকে কী ভাবে দিল্লি নিয়ে যাবেন? সাতপাঁচ ভেবে দোকানিকে জিজ্ঞাসা করলেন, অনলাইন পেমেন্টের ব্যবস্থা রয়েছে কি না। বিক্রেতা আশ্বস্ত করতেই হাসি ফুটল প্রধানমন্ত্রীর মুখে। ঝটপট পকেট থেকে মোবাইল ফোন বার করে দাম চুকিয়ে দিলেন তিনি। আর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর হাতে উঠে এল জগন্নাথদেবের ওই মূর্তি।
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে তাঁকে ইউনিফায়েড পেমেন্টস সিস্টেম বা ইউপিআইতে টাকা দিতে দেখা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন নেটাগরিকদের একাংশ। আগামী দিনে লেনদেনের ক্ষেত্রে ইউপিআইয়ের ব্যবহার যে আরও বাড়বে তা বলাই বাহুল্য। মোদীকে ইউপিআইয়ের মাধ্যমে টাকা দিতে দেখে আরও অনেকে এটি ব্যবহার করতে এগিয়ে আসবেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এ দিন মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধায় বিশ্বকর্মা যোজনা সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানেই ছিল কারুশিল্পীদের একটি প্যাভেলিয়ন। বিশ্বকর্মা যোজনায় টাকা পেয়ে যাঁরা বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী তৈরি করছেন, তাঁরাই সেখানে পশরা সাজিয়ে বসেছিলেন। ঘুরতে ঘুরতে একটি স্টলের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
ওই স্টলে কাঠের তৈরি জগন্নাথদেবের মূর্তি বিক্রি হচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রী প্রথমে মূর্তিটির দাম জিজ্ঞাসা করেন। এর পর টেবিলে রাখা বারকোড স্ক্যান করে তা মিটিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রীকে সামনে দেখে রীতিমতো আবেগবিহ্বল ছিলেন ওই দোকানি। সঙ্গে সঙ্গেই মূর্তিটি মোদীর হাতে তুলে দেন তিনি।
উল্লেখ্য, ভাইরাল ভিডিয়োয় প্রধানমন্ত্রীকে ওই দোকানির সঙ্গে কথা বলতে শোনা গিয়েছে। ওই ব্যক্তি টাকা পেয়েছেন কি না, তা জানতে চান তিনি। অ্যাকাউন্টে টাকা চলে গিয়েছে জানার পরই স্টল ছাড়েন নমো।