চশমার পিছনে দৌড়নো পুলিশবাহিনীর তৎপরতা নিয়ে কটাক্ষও করেছেন অনেকে। ছবি : টুইটার থেকে।
চশমা নিয়ে চম্পট দিল বাঁদর। তার পিছন পিছন ছুটল পুলিশের এক বিরাট দল। কেন? কারণ চশমাটি যেমন তেমন চশমা নয়। উত্তরপ্রদেশের মথুরায় সফরে এসেছিলেন জেলাশাসক নবনীত চাহল। আচমকা তাঁরই চোখ থেকে চশমা খুলে নিয়ে পালায় এক বাঁদর।
মথুরায় যদিও এমন ঘটনা নতুন নয়। এই এলাকার বাঁদরের বাঁদরামিতে প্রায়ই উত্যক্ত হন আমজনতা। অনেক সময় ছিনিয়ে নেওয়া জিনিস হারিয়েও যায়। তবে সে জিনিস খুঁজে আনতে পুলিশের কাছে যান না সাধারণ মানুষ। পুলিশও ছোটে না বাঁদরের পিছনে। তবে এই ঘটনাটি আলাদা। এ খানে বাঁদরের লক্ষ্য ছিলেন স্বয়ং জেলাশাসক। ফলে চশমাচোরের পিছনে ছুটল পুলিশ।
ছাদ-বারান্দা পাঁচিল টপকে সেই বাঁদর যখন এক দোতলা ফটকের মাথায়, তখন ক্লান্ত পুলিশকর্মীদের কাউকে দেখা গেল হাত পেতে পাঁচিলের নীচে দাঁড়িয়ে অনুনয় বিনয় করতে। কেউ বা অন্য বাড়ির ছাদে উঠে তার কাছাকাছি পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। নীচে জেলাশাসককেও দেখা যায় চশমার জন্য অপেক্ষা করতে। হয়ত কিছুটা বিরক্তিও ধরা পড়ে তাঁর অভিব্যক্তিতে। অবশেষে দীর্ঘ টালবাহানার চশমা আসে তার হাতে। তবে জেলা শাসকের চশমাচোরের কোনও শাস্তি হয়নি। বদলে তার হাতে দেওয়া হয় পছন্দসই ফলের রসের প্যাকেট। বস্তুত সেই প্যাকেট হাতে পেয়েই চশমা দিতে রাজি হয় বাঁদরটি।
গোটা ঘটনাটির একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন এক আইএফএস কর্তা। তাঁর এই ভিডিয়োটি দেখে অনেকেই বাঁদরের সঙ্গে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন। কেউ আবার চশমার পিছনে দৌড়নো পুলিশবাহিনীর তৎপরতা নিয়ে কটাক্ষও করেছেন।