বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৭ জন তরুণীর টাকা হাতানোর অভিযোগে ধৃত আইআইটি বেঙ্গালুরুর প্রাক্তনী রাহুল চতুর্বেদী। ছবি: সংগৃহীত
এক-দু’জন নয়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৭ জন মহিলাকে প্রতারণার অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত পুলিশের জালে ধরা পড়লেন সেই গুণধর। অভিযুক্ত ব্যক্তি ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউটের অফ ম্যানেজমেন্টের (আইআইএম) প্রাক্তনী বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। শুধু তা-ই নয়, ওই ব্যক্তি বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা উইপ্রোয় চাকরি করতেন বলেও জানা গিয়েছে।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একের পর এক তরুণীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ধৃত ব্যক্তির নাম রাহুল চতুর্বেদী। সম্প্রতি তাঁকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশের নয়ডা পুলিশ। ৩৯ বছরের ওই অভিযুক্তর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মহিলাদের প্রতারণার জন্য রাহুল ওই ফোনটি ব্যবহার করতেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলাদের থেকে টাকা হাতাতে একাধিক অনলাইন ঘটকালি সংস্থায় অ্যাকাউন্ট খোলেন রাহুল। এর পর বেছে বেছে ৩০ থেকে ৩৫ বছরের তরুণীদের টার্গেট করতেন তিনি। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথমে ওই মহিলাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতেন ওই ব্যক্তি। শেষে নানা ধরনের টোপ দিয়ে তাঁদের থেকে টাকা হাতিয়ে চম্পট দিতেন ।
নয়ডা পুলিশের দাবি, গত কয়েক মাস ধরেই এই ধরনের প্রতারণার একাধিক অভিযোগ আসছিল। অভিযোগের ধরন একই রকমের হওয়ায় খটকা লাগে তদন্তকারীদের। এর পরই ফাঁদ পেতে রাহুলকে গ্রেফতার করেন তাঁরা।
পুলিশ জানিয়েছে, আইআইএম বেঙ্গালুরুর প্রাক্তনী রাহুল ছিলেন উইপ্রোর রিজিয়োনাল ম্যানেজার। সেখানে ১.৩৭ লক্ষ টাকা বেতন পেতেন তিনি। ২০২১ সালে চাকরি চলে যায় তাঁর। তদন্তকারীদের অনুমান, এর পরই প্রতারণা শুরু করেন তিনি। মহিলাদের ফাঁসাতে ভুয়ো স্যালারি স্লিপও তৈরি করেছিলেন রাহুল। এই কাজে কে বা কারা তাঁকে সাহায্য করেছিলেন, সেটাই এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। উইপ্রোর চাকরি কেন গিয়েছিল, তা-ও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।