Viral News

‘এ ভাবে চুল কাটিয়েছ কেন?’ চুলের ছাঁট অপছন্দ হওয়ায় প্রেমিকাকে কুপিয়ে খুন করলেন প্রেমিক!

কারমেন আর বেঞ্জামিনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাননি। তিনি তাঁর এক বন্ধুকে সে কথা জানান এবং বেঞ্জামিনকেও তা জানিয়ে দিতে বলেন। বিচ্ছেদের কথা শোনার পর আরও রেগে যান বেঞ্জামিন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:২৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন এক ভাবে। বাড়ি ফিরে আসার পর প্রেমিকাকে অন্য রূপে দেখেন তাঁর প্রেমিক। দেখেই মাথা গরম হয়ে যায় তাঁর। প্রেমিকা চুল কাটিয়ে ফেলেছেন। প্রেমিকার চুলের নতুন ছাঁট একদম পছন্দ হয়নি তাঁর। তা নিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া করতে শুরু করেন তিনি।

Advertisement

ঝগড়া এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে ছুরি দিয়ে কোপ মেরে প্রেমিকাকে মেরেই ফেলেন তাঁর সঙ্গী। ঘটনাটি পেনসিলভ্যানিয়ায় ঘটেছে। মৃতার নাম কারমেন মার্টিনেজ় সিলভা (৫০)। ৪৯ বছর বয়সি অভিযুক্তের নাম বেঞ্জামিন গার্সিয়া গুয়াল। খুনের অভিযোগে বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন বেঞ্জামিন।

পুলিশ সূত্রে খবর, চুল কাটানোর পর বেঞ্জামিনের বাড়িতে যান কারমেন। কারমেনের চুলের নতুন ছাঁট দেখে রেগে যান বেঞ্জামিন। তা নিয়েই ঝামেলা শুরু হয় দু’জনের মধ্যে। কারমেন বুঝতে পারেন যে, রাগের বশে তাঁকে মেরে ফেলতে পারেন বেঞ্জামিন। তাই বেঞ্জামিনের বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে কারমেন তাঁর কন্যার বাড়িতে যান।

Advertisement

সেখানে গিয়েও নিজেকে নিরাপদ মনে না করায় কারমেন তাঁর দাদার বাড়ি চলে যান। পুলিশ সূত্রে খবর, কারমেন আর বেঞ্জামিনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাননি। তিনি তাঁর এক বন্ধুকে সে কথা জানান এবং বেঞ্জামিনকেও তা জানিয়ে দিতে বলেন। বিচ্ছেদের কথা শোনার পর আরও রেগে যান বেঞ্জামিন। প্রেমিকার সন্ধানে কারমেনের দাদার বাড়ি চলে যান তিনি। কিন্তু কারমেনের দাদা জানান যে, তাঁর বোন বাড়িতে নেই।

পুলিশ জানায়, কারমেনের দাদার কথা শুনে চলে গেলেও আবার ফিরে আসেন বেঞ্জামিন। দরজা খুলতেই কারমেনের দাদার শরীরে একাধিক বার ছুরি দিয়ে কোপ বসিয়ে দেন বেঞ্জামিন। কারমেন সঙ্গে সঙ্গে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। কারমেনকে দেখেই মারতে যান বেঞ্জামিন। কারমেনের দাদার বাড়িতে সেই সময় উপস্থিত ছিলেন আরও এক ব্যক্তি। কারমেনকে যখন তিনি বাঁচাতে যান, তখন বেঞ্জামিন তাঁকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। কারমেন চুল কাটিয়ে ফেলেছেন বলে রাগে ছুরি দিয়ে কোপ মেরে প্রেমিকাকে মেরে ফেলেন বেঞ্জামিন।

খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। কারমেনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। কারমেনের দাদাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কারমেনের দাদার বাড়িতে উপস্থিত ব্যক্তিও চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। খুনের অভিযোগে বেঞ্জামিনকে গ্রেফতার করেছে পেনসিলভ্যানিয়া পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement