১৭ বছরের সংসার। তার পর আবার পাঁচ বছরের বিরতি। তার পর আবার সংসার পাতেন তারকা-পুত্র। অভিনয়ের পাশাপাশি ছবির পরিচালনা এবং প্রযোজনাও করেন তিনি। দু’পক্ষের সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদ হলেও কানাঘুষো শোনা যায়, সহ-অভিনেত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার কারণেই নাকি সংসার ভাঙে ফারহান আখতারের।
২০০১ সালে ‘দিল চাহতা হ্যায়’ ছবির হাত ধরে বলিপাড়ায় নিজের কেরিয়ার শুরু করেন ফারহান। কিন্তু পেশাগত জীবনে থিতু হওয়ার আগেই সাংসারিক জীবন গুছিয়ে নেন তিনি।
অধুনা ভবানির সঙ্গে ২০০০ সালে বিয়ে হয় ফারহানের। পেশায় কেশসজ্জাশিল্পী অধুনা। তিন বছর সম্পর্কে থাকার পর অধুনাকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর দুই কন্যাসন্তানেরও জন্ম দেন অধুনা।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ‘দিল চাহতা হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ের সময় অধুনার সঙ্গে আলাপ হয় ফারহানের। পেশাগত সম্পর্ক প্রেমে গড়াতে বেশি সময় লাগেনি। কিন্তু ২০১৭ সালে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন দু’জনে।
২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে বিবাহবিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন ফারহান এবং অধুনা। তার পর ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে আইনি বিচ্ছেদ হয় তাঁদের।
বিবাহবিচ্ছেদের পর সন্তানের দায়িত্বভার পান অধুনা। ফারহান এবং অধুনা দু’জনেই জানিয়েছিলেন যে, দু’জনের সম্মতিতে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। কিন্তু কানাঘুষো শোনা যায়, তাঁদের ভাঙনের নেপথ্যে ছিলেন বলিউডের এক অভিনেত্রী।
২০০৭ সালে বলি অভিনেতা সত্যদীপ মিশ্রকে বিয়ে করেন বলি নায়িকা অদিতি রাও হায়দারি। ২১ বছর বয়সে গোপনে বিয়ে সেরেছিলেন অদিতি। কিন্তু সেই কথা প্রকাশ্যে আনতে চাননি তিনি। ২০১৩ সালে সত্যদীপের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন অদিতি নিজেই।
২০১৬ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ওয়াজ়ির’। এই ছবিতে ফারহানের বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা যায় অদিতিকে। বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, ‘ওয়াজ়ির’ ছবির শুটিংয়ের সময় সম্পর্ক তৈরি হয় দুই তারকার।
বলিপাড়ার অন্দরমহল সূত্রে খবর, ‘ওয়াজ়ির’ ছবির শুটিংয়ের সময় গভীর বন্ধুত্ব হয় ফারহান এবং অদিতির। সেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক নাকি প্রেমেও পরিণত হয়। অধিকাংশ সময় দুই তারকাকে শুটিং ফ্লোরের বাইরেও একসঙ্গে সময় কাটাতে দেখা গিয়েছে বলে বলিপাড়ার একাংশের দাবি।
বলিউডের জনশ্রুতি, অদিতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই ফারহানের সঙ্গে অধুনার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। ফারহান এবং অদিতির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অদিতি এক পুরনো সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘এ সব আমাদের কাজের অংশ। কখনও পাঁচ মিনিটের জন্য বিরক্ত বোধ করি। আবার সকলে মিলে ইয়ার্কিও করি। আমার কাছে বেশ বিনোদনমূলক লাগে এই রটনাগুলো।’’
অন্য দিকে ফারহানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি সত্যিই বুঝতে পারি না, এই ধরনের খবর কী ভাবে আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে। আমার মনে হয়, দর্শক পর্দার প্রেম এবং বাস্তবের প্রেম গুলিয়ে ফেলে।’’
বলিপাড়া সূত্রে জানা যায়, বিবাহবিচ্ছেদের এক বছরের মাথায় শিবানী দান্ডেকরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ফারহান। পেশায় ভিডিয়ো জকি শিবানী। বছর পাঁচেক সম্পর্কে থাকার পর ২০২২ সালে শিবানীকে বিয়ে করেন ফারহান।
অন্য দিকে চলতি বছরে দক্ষিণী অভিনেতা সিদ্ধার্থ সূর্যনারায়ণের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন অদিতি। হায়দরাবাদ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে ওয়ানাপার্থি শহরের একটি ৪০০ বছরের পুরনো মন্দিরে সাত পাকে বাঁধা পড়েন দুই তারকা।
শুধু অদিতিই নন, ফারহানের নাম জড়িয়ে পড়েছিল কল্কি কেঁকলার সঙ্গেও। ২০১১ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ ছবির শুটিংয়ের সময় নাকি কল্কির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন ফারহান। তবে এ সবই রটনা বলে উড়িয়ে দেন জাভেদ আখতারের পুত্র ফারহান।