ছবি: সংগৃহীত।
ভেন্টিলেশনে শুয়েও কর্তব্য পালন করলেন বাবা। প্রায় মর মর অবস্থায় বিয়ে দিলেন দুই কন্যার। তাঁর জন্য লখনউয়ের মেডিক্যাল কলেজেই বসল বিয়ের আসর। বিয়ের সাক্ষী রইলেন চিকিৎসকেরা।
দুই মেয়ের বিয়ের দিন পনেরো আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বাবা। ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হতে হয়েছিল হাসপাতালে। তার পর থেকে ক্রমেই অবস্থার অবনতি হতে থাকে তাঁর। প্রথমে আইসিইউতে পরে ভেন্টিলেটরে জীবনদায়ী ব্যবস্থার সাহায্যে চিকিৎসা চলতে থাকে ৫৫ বছরের সুফি সইয়দ জুনেদ সাবরির।
তাঁর দুই কন্যা ২৯ বছরের দ্রক্ষা এবং ২৬ বছরের তানজিলার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ২২ জুন। কিন্তু বাবার অবস্থা দেখে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন বাবার উপস্থিতিতে হাসপাতালেই বিয়ে সারবেন। মেয়েদের আবেদনে সাড়া দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।
নির্ধারিত তারিখের আগেই গত ৮ জুন হাসপাতালে সাবরির ভেন্টিলেটর বেডের পাশে বসে বিয়ের আসর। চিকিৎসকদের সাক্ষী রেখে বাবার সামনেই বিয়ে করেন দুই কন্যা।