ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
প্রেমের সঙ্গে বিজ্ঞানের কি কোনও সম্পর্ক নেই? বিজ্ঞান কি বড়ই কেঠো? মহাকাশের দিকে দিবারাত অপাঙ্গে তাকিয়ে থাকা নাসা অন্তত তেমন মনে করে না। বরং বুধবার প্রেম দিবসে পৃথিবীর হয়ে চাঁদকে একটা সাহসী চিঠি লিখে ফেলেছে তারা। জানতে চেয়েছে, নতুন চন্দ্র অভিযানে ‘‘ তুমি কি আমার প্রেমিকা হবে?’’
নাসা অবশ্য প্রথম এমন প্রেমে গদগদ পোস্ট করল তা নয়। এর আগেও বহুবার প্রেমদিবসে এমন পোস্ট করেছে নাসা।
১। দুই গ্যালাক্সির আলিঙ্গন
সেই আলিঙ্গনও আবার হৃদয়ের আকৃতির। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে তোলা এই ছবিতে দু’টি নক্ষত্রমণ্ডলকে পরষ্পরের সঙ্গে মিশে যেতে দেখা যাচ্ছে। আর মিশে যেতে যেতেই মহাকাশে হৃদয়ের আকৃতি তৈরি করেছে তারা।
২। মহাজাগতিক গোলাপ
স্পিৎজার স্পেস টেলিস্কোপে ২০০৪ সালে তোলা ছবি। নবজাতক এক ঝাঁক তারার এই ছবি আসলে একটি নেবুলা।
৩। মঙ্গলে প্রেম না প্রেমে মঙ্গল
২০১০ সালে মার্স রেকনেসাঁ অরবিটারের তোলা ছবি। মঙ্গলের মাটিতে একটা ছোট্ট গিরিখাতের জন্যই এই উজ্জ্বল হৃদয়াকৃতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছিল নাসা।
৪। অপার্থিব হৃদয়
স্পিৎজার স্পেস টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে তারাদের জন্মকুণ্ড। এখানে যেমন প্রাচীনতম তারারা রয়েছে (উজ্জ্বল নীল বিন্দু)। তেমনই রয়েছে নবজাতক তারারাও।
৫। মহাজাগতিক চুম্বন!
নিউ হরাইজন মহাকাশযানের তোলা ছবি। দু’টি মহাজাগতিক বস্তু পরষ্পরকে ঘিরে আবর্তন করতে করতে একটা সময় জুড়ে গিয়েছে। নাসা এই ছবি পোস্ট করে লিখেছে, ‘‘প্রেম দিবসের বিজ্ঞান হিসাবে এটা কেমন? ’’
শেষে সেই ছবি যা এই ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে পোস্ট করেছে নাসা। সঙ্গে রয়েছে সেই মহাজাগতিক প্রেমপত্রও।