ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
জঙ্গলের মাঝে এমন অদ্ভুত, লম্বা জিনিসটি কী? নতুন জিনিস দেখেই কৌতূহলী হয়ে তা শুঁকতে শুরু করেছিল ‘বনের রানি’। তার পর তাতে কামড় বসিয়ে জঙ্গলের ভিতর দৌড়তে শুরু করল সে। আসলে সিংহীর মুখে ছিল একটি সেল্ফি স্টিক। তার মধ্যে লাগানো ছিল ক্যামেরাও। সেল্ফি স্টিক নিয়ে দৌড়নোর সময় নিজেই নিজের ভিডিয়ো শুট করে ফেলে সিংহী। সমাজমাধ্যমে সেই ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
‘যোগ’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়োয় একটি সিংহীকে দৌড়তে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু তার মুখ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। যেন দাঁতে কিছু একটা কামড়ে ধরে রয়েছে সে। আসলে জঙ্গলের মধ্যে বন্যপ্রাণীদের ছবি এবং ভিডিয়ো তোলার জন্য কোনও চিত্রগ্রাহকশিল্পী সেল্ফি স্টিক রেখেছিলেন। জঙ্গলের ভিতরে সেল্ফি স্টিক দেখে ভ্যাবাচাকা খেয়ে যায় সিংহী। কৌতূহলবশত সেই স্টিকটি মুখে নিয়েই দৌড়তে শুরু করে সে। ঢিমেতালে দৌড়তে দৌড়তে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে যায় সিংহীটি। তার পর জোরে ছুটতে শুরু করে সে। পুরো সময় জুড়ে ক্যামেরা অন ছিল। সিংহীর নাকের অংশটুকুই স্পষ্ট ভাবে ধরা পড়ছিল ক্যামেরার লেন্সে। ছুটতে গিয়ে এক বার এ দিক-সে দিক তাকিয়ে মুখ থেকে সেল্ফি স্টিক ফেলে দিয়ে ঘাসের উপর বসে পড়ল সে। খানিক ক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর আবার সেল্ফি স্টিক নিয়ে দৌড় লাগায় সিংহী। কিন্তু মাঝপথে সেটি ফেলে পালিয়ে যায়। ঘাসের উপর পড়ে থাকে সেল্ফি স্টিকটি। স্টিকে লাগানো ক্যামেরায় ধরা পড়ে, সেই মুহূর্তে একটি গাড়ি সেখানে এসে উপস্থিত হয়। সেখানেই থেমে যায় ভিডিয়োটি। সিংহীর এই দৌড়ের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়েছে। নেটব্যবহারকারীদের অধিকাংশ তা পছন্দ করেছেন।
ঘটনাটি কোথাকার তা জানা যায়নি। তবে নেটাগরিকদের একাংশের অনুমান, ওই ক্যামেরাটি এক চিত্রগ্রাহকশিল্পীর। সিংহী যখন সেল্ফি স্টিক নিয়ে দৌড়তে শুরু করে তখন তার পিছনে গাড়ি নিয়ে ধাওয়া করেন তিনি। গাড়িটি দেখেই স্টিকটি ঘাসের উপর ফেলে পালিয়ে যায় সিংহীটি। এক জন আবার মজা করে মন্তব্য করেছেন, ‘‘বনের রানিও নিজস্বী তুলতে শিখে গেল।’’