Gulab Jamun latte

পান্তুয়ার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে দুধ আর কফি! নিউ ইয়র্কের দুই বাঙালির চায়ের দোকানের গল্প

কলকাতা চায় কোং-এর দুই প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকাবাসী বাঙালি। তাঁদের নাম অয়ন সান্যাল এবং অনি সান্যাল। নিজেদের ওয়েবসাইটে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের জন্ম নিউ ইয়র্কে। তবে বাংলার স্মৃতি এখনও তাজা তাঁদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:০০
Share:

ছবি : ইনস্টাগ্রাম।

শীত মানেই উলের জামা গায়ে হাতে ধোঁয়া ওঠা কফির কাপের ওম নেওয়ার সময়। আর শীতের কলকাতা মানে খাওয়া দাওয়ার মেলা। এ বারের শীতে অবশ্য কলকাতামুখী নিউ ইয়র্কও। কলকাতার স্বাদ পেতে নিউ ইয়র্কবাসীরা ছুটছেন আমেরিকার এই শহরেই সেজে ওঠে একটুকরো কলকাতায়।

Advertisement

নাম কলকাতা চায় কোং। নিউ ইয়র্কবাসী বাঙালি দুই ভাই খুলে বসেছেন এই চায়ের ক্যাফে। সেই ক্যাফেতে নিউ ইয়র্কারদের লাইন লাগার কারণ অবশ্য চা নয়। এক বিশেষ ধরনের কফি। কলকাতার পান্তুয়া বা গুলাবজামুনের স্বাদ মিশে গিয়েছে সেই কফিতে।

কলকাতা চায় কোং-এর দুই প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকাবাসী বাঙালি। তাঁদের নাম অয়ন সান্যাল এবং অনি সান্যাল। নিজেদের ওয়েবসাইটে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের জন্ম নিউ ইয়র্কে। বাবা-মাও ১৯৮৭ সালে চলে এসেছিলেন আমেরিকার ম্যাসাচুসেটসে। কিন্তু বরাবরই ছুটিতে কলকাতায় বেড়াতে যেতেন তাঁরা। সেই সময় রোজ চা খাওয়া হত। আর খাওয়া হত কলকাতার রাস্তার ধারের ঝালমুড়ি, ভেলপুরী-সহ নানারকম রাস্তার খবর। সেই সমস্ত স্মৃতি ঝালিয়ে নিতেই নিউ ইয়র্কে একটুকরো কলকাতাকে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছেন তাঁরা।

Advertisement

বাবা-মায়ের সঙ্গে অয়ন (ডান দিক থেকে দ্বিতীয়)এবং অনি সান্যাল (বাঁ দিক থেকে দ্বিতীয়)।) ছবি: কলকাতা চায় কোং এর ওয়েবসাইট থেকে।

আর তাঁদেরই কলকাতা প্রেমের প্রমাণ ওই গুলাবজামুন লাতে। লাতে আসলে এমন এক ধরনের কফি, যাতে অন্যান্য কফির থেকে দুধ আর ক্রিমের পরিমাণ বেশি। স্বাদেও কিছু বেশি মিষ্টি। তাই কফির সঙ্গে গুলাবজামুনের স্বাদ গন্ধ মিশলে এই কফিতে স্বাদ গত বড় ফারাক হবে না। লাতে প্রেমীদের রসনার সেই দুর্বলতাকেই ধরেছে কলকাতা চায় কোং। তারা জানিয়েছে, গুলাবজামুন তৈরি হয় কেশর আর খোয়া ক্ষীর দিয়ে। এই লাতেতেও তারই স্বাদ গন্ধ মিলবে। তবে গুলাবজামুনের মনমাতানো গন্ধ আসে মিষ্টিটি ঘিয়ে ভাজার জন্য। লাতে কফিতে কি ঘিয়ের গন্ধও পাওয়া যাবে, তা অবশ্য স্পষ্ট নয় কলকাতা চায়ের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement