প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত।
দরজার কাছে অবহেলায় পড়ে ছিল দীর্ঘ দিন। এক খণ্ড পাথরটির দিকে সে ভাবে নজর দেননি কেউই। বাড়ির বৃদ্ধা মালিক ঘুণাক্ষরেও টের পাননি এক অমূল্য সম্পদ পড়ে রয়েছে তাঁর বাড়িতে। পরে সেই পাথরটির আসল পরিচয় প্রকাশ পেতেই চোখ কপালে উঠেছে রোমানিয়ার বাসিন্দা ওই বয়স্ক মহিলার পরিবারের। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অ্যাম্বারের প্রকৃত মূল্য উপলব্ধি না করেই কয়েক দশক ধরে দরজা আটকানোর বস্তু হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন তাঁরা। প্রাগৈতিহাসিক এই রত্নটির দাম ১১ লক্ষ টাকা। সম্প্রতি একটি স্প্যানিশ সংবাদপত্র ‘এল পাইসে’-তে প্রকাশিত হয়েছে এই খবরটি।
বহু বছর আগে রোমানিয়ান গ্রামের একটি ঝর্নার কাছে অ্যাম্বারের বড় টুকরোটি খুঁজে পেয়েছিলেন ওই পরিবারের এক সদস্য। তার পর থেকে এই পাথরটি সকলের চোখের সামনেই পড়ে ছিল দরজার এক পাশে। মজার বিষয় হল, ওই বৃদ্ধার বাড়িতে এক বার চুরিও হয়েছিল। তখনও চোরদের নজর এড়িয়ে গিয়েছে বহুমূল্য পাথরটি।
১৯৯১ সালে মহিলার মৃত্যুর পরে তাঁর এক উত্তরাধিকারীর নজরে আসে অ্যাম্বারটি। তিনি পাথরটি পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর সন্দেহ সঠিক প্রমাণিত হয়। তিনি এটিকে রোমানিয়ান প্রশাসনের কাছে বিক্রি করেন। পাথরটি পেয়েই একে জাতীয় সম্পদ হিসাবে ঘোষণা করে রোমানিয়া প্রশাসন। বিশেষজ্ঞেরা রত্নটি পরীক্ষা করে অনুমান করেছেন এটি প্রাগৈতিহাসিক যুগের, বয়স আনুমানিক সাত কোটি বছর।