কোটি টাকার লাড্ডু। ছবি: সংগৃহীত।
গণেশ পুজো মানেই লাড্ডু খাওয়ার খাওয়ানোর হিড়িক। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ প্রান্তে এই মিষ্টি নিয়ে উন্মাদনা থাকে কিছুটা বেশি। প্রতি বছর এই সময়ে বিপুলাকার সব লাড্ডু বিক্রি হয় লাখ টাকা দরে। বুধবারই হায়দরাবাদে ২১ কেজি ওজনের একটি লাড্ডু বিক্রি হয়েছে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকায়। তবে সেই দাম শুনে যাঁদের চোখ কপালে উঠেছিল, এ বার তাঁদের ভিরমি খাওয়ার পালা। কারণ হায়দরাবাদের অনতিদূরেই তেলেঙ্গানার এক শহরতলিতে একটি মাত্র লাড্ডু বিক্রি হয়েছে কোটি টাকারও বেশি দরে।
নিলামে উঠেছিল ওই লাড্ডু। ঠিকঠাক হিসাবে ১কোটি ২৬ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছে সেই লাড্ডু। তবে সেই লাড্ডু কোনও একজন ব্যক্তি কেনেননি। ওই লাড্ডু কিনেছেন তেলেঙ্গানার বান্দলাগুড়া জাগিরের রিচমন্ড ভিলার বাসিন্দারা। যা এযাবৎকালের তেলেঙ্গানার লাড্ডু বিক্রির সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে।
গণেশ পুজোর সময় লাড্ডু নিয়ে একরকম প্রতিযোগিতা তেলেঙ্গানার ঐতিহ্য। মিষ্টি প্রস্তুতকারীদের মধ্যে জোড় লড়াই হয় এই সময়। বিসর্জনের সময়েই লাড্ডুর দর চড়ে। হায়দরাবাদের এই লাড্ডু ঐতিহ্য দীর্ঘদিন ধরে বয়ে নিয়ে চলেছে বালাপুরের লাড্ডু। সেই নব্বইয়ের দশক থেকে প্রতিবছর গণেশ বিসর্জনের সময় নিলামে ওঠে বালাপুরের লাড্ডু। কিন্তু ইদানিং বালাপুরের ঐতিহ্যকে টক্কর দিচ্ছে বান্দলাগুড়ার লাড্ডু।
গত বছর মাত্র ১২ কেজি ওজনের বান্দলাগুড়ার লাড্ডু বিক্রি হয়েছিল ৬০ লক্ষ টাকায়। সেবারও বালাপুরকে টেক্কা দিয়েছিল তারা। এ বারও তা-ই হল। বালাপুরের ২৭ লক্ষ টাকার লাড্ডুকে মাত দিল বান্দলাগুড়ার ১.২৬ কোটির লাড্ডু।
সেই লাড্ডু। যার দাম ১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা। ছবি: সংগৃহীত।
গোলাপি রঙের ওড়নায় মোড়া ওই লাড্ডুর নাম দেওয়া হয়েছে গণেশ লাড্ডু। তার মাথাকেও গণেশের মাথার তিলক দিয়ে সাজানো হয়েছিল। বসানো হয়েছিল রূপোর এক বিশাল রেকাবিতে। ওজন নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা না গেলেও এই লাড্ডুর ওজন ১০ কেজির কম হবে না বলেই মত অনেকের। বৃহস্পতি বার এই লাড্ডুই বিক্রি হয়েছে কোটি টাকায়।
রিচমন্ড ভিলার তরফে জানানো হয়েছে ওই লাড্ডুর জন্য অর্থ দিয়েছেন রিচমন্ড ভিলার সমস্ত বাসিন্দা। তাই তারা ঠিক করেছেন, এই লাড্ডু বিক্রির টাকা কোনও জনকল্যাণকর কাজে ব্যবহার করা হবে।