—প্রতীকী ছবি।
স্নানরতা মহিলাদের ছবি গোপনে ক্যামেরাবন্দি করাই ছিল উদ্দেশ্যে। তাই আসল পাথরের ফাঁকে নকল পাথর তৈরি করে তাতে ক্যামেরা ভরে দেন এক ব্যক্তি। এক হাজার মহিলার ছবি সেই গোপন ক্যামেরায় তোলার পর পুলিশের জালে ধরা পড়লেন কীর্তিমান। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এক জাপানি ব্যক্তি গোপনে বিভিন্ন উষ্ণ প্রস্রবণে মহিলাদের স্নান করার ছবি তোলার জন্য এমন ভাবে ক্যামেরা লাগিয়েছিলেন যাতে কেউ টের না পান। প্রস্রবণের পাশে থাকা পাথরের ফাঁকে রেখে দেওয়া হত ক্যামেরাগুলি। ইয়ামাগাতা প্রদেশের একটি উষ্ণ প্রস্রবণে স্নান করতে গিয়ে এক মহিলা গোপন ক্যামেরা খুঁজে পাওয়ার পর এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। মে মাসে ৩১ বছর বয়সি অভিযুক্তকে ফুকুশিমা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে সংবাদমাধ্যমগুলি দাবি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, অভিযোগকারী মহিলা পাথরের মাঝে অদ্ভুত প্রতিফলন লক্ষ্য করেন। যা দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। তিনি পাথরটি পরীক্ষা করে বুঝতে পেরেছিলেন যে এটির ভিতরে একটি গুপ্ত ক্যামেরা রয়েছে। পাথরটিও ছিল নকল। মহিলা ঘটনাটি স্থানীয় পুলিশকে জানান। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পাথর ও ক্যামেরাটি বাজেয়াপ্ত করে। এর পর অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই ক্যামেরাগুলির সন্ধানে আসার পর তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ক্যামেরায় ৪৪ জনের ছবি ছিল।
অভিযুক্ত জাপানি ব্যক্তি পুলিশকে জানান যে তিনি অনলাইনে একটি টেলি লেন্স কিনেছিলেন। কাদামাটি এবং বাদামি প্লাস্টিক ব্যবহার করে একটি নকল পাথর তৈরি করে তার মধ্যে ক্যামেরাটি লুকিয়ে রেখেছিলেন। তার পর তিনি ক্যামেরার কেবলটি বাদামি ফিতে দিয়ে মুড়িয়ে একটি পাওয়ার ব্যাঙ্কের সঙ্গে এমন ভাবে সংযুক্ত করে দেন যাতে কর্ডগুলি কারও নজরে না পড়ে। তিনি ২০২২ সাল থেকে এই কীর্তি চালিয়ে যাচ্ছিলেন এবং হাজারেরও বেশি মহিলার ছবি গোপনে রেকর্ড করেছেন বলে জেরায় জানান। এর আগে শিশু পর্নোগ্রাফি রাখার দায়েও তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।