—প্রতীকী ছবি।
বেঙ্গালুরুর রাস্তায় ১০ বছর বয়সি এক বালকের হাতে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন। এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন নেটপ্রভাবী নেহা বিসওয়াল। নেহার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নেহাও পুরো বিষয়টি এক ভিডিয়োবার্তায় সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন। জানিয়েছেন, তিনি এই ঘটনায় ব্যথিত। ভাইরালও হয়েছে নেহার সেই ভিডিয়ো (যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
নেহার অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে কাজ থেকে ফেরার পথে ১০ বছরের ওই বালক তাঁর শ্লীলতাহানি করে। তাঁর দাবি, বেঙ্গালুরুর বিটিএম লেআউটের একটি রাস্তা দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। একটি ভিডিয়োও রেকর্ড করছিলেন। এমন সময় ওই বালক সাইকেল চালিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসে এবং তাঁকে বাজে ভাবে স্পর্শ করে। পুরো বিষয়টি নেহার ক্যামেরায় ধরা পড়ে। তিনি চিৎকার করে উঠলে স্থানীয় কয়েক জন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ছেলেটিকে ধরে ফেলেন। তবে উপস্থিত অনেকেই ওই বালকের প্রতি সহানুভূতি দেখান বলে অভিযোগ নেহার। ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনগণের একাংশ নাকি তাঁকে বলেন, বালকটি যা করেছে তা অনিচ্ছাকৃত ভাবে করেছে এবং তাকে ছেড়ে দেওয়া উচিত।
নেহা জানিয়েছেন, তিনি ওই এলাকাতেই পেয়িং গেস্ট হিসাবে ভাড়া থাকেন। এ রকম ঘটনা তাঁর সঙ্গে আগে ঘটেনি। ভিডিয়োয় তিনি বলেছেন, ‘‘এ রকম ঘটনা আমার সঙ্গে কখনও ঘটেনি। আমার খুব খারাপ লাগছে। আমি হাঁটার সময় একটি ভিডিয়ো করছিলাম। ছেলেটি প্রথমে সাইকেল নিয়ে আমাকে পাশ কাটিয়ে যায়। তার পর সে আমাকে দেখে, ইউ-টার্ন করে এবং আমার দিকে আসতে শুরু করে। উত্ত্যক্ত করার পর আমায় নকল করতে শুরু করে এবং তার পরে আমার শ্লীলতাহানি করে। আমি ভিডিয়ো দেখানোর পরেই সকলে আমাকে বিশ্বাস করে। অনেকে তাকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিল, কারণ সে নাবালক। কিন্তু আমি থামিনি। আমি তাকে মারধর করি।’’
নেহা পরে জানিয়েছেন, তিনি কোনও অভিযোগ দায়ের না করলেও বেঙ্গালুরু পুলিশ নিজে থেকেই পদক্ষেপ করেছে এবং অভিযুক্তকে শনাক্ত করতে রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। তাঁর ফোনের ভিডিয়োও সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’র সঙ্গে কথা বলার সময় ডিসিপি (দক্ষিণ-পূর্ব বেঙ্গালুরু) সারা ফাতিমা নিশ্চিত করেছেন যে ওই বালককে আটক করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।