আট বছর ধরে রোজ মারধর করতেন স্বামী। কারণ একটাই। দু’টি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। ছেলের জন্ম দিতে পারেননি। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নিউ ইয়র্কে আত্মহত্যা করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মনদীপ কৌর। তাঁর পরিবারের তরফে এই অভিযোগ তুলে ভারত সরকারের কাছে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।
৩০ বছরের তরুণীর মৃত্যুর পর নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে বেশ কিছু ভিডিয়ো। ইনস্টাগ্রামে সে সব ভিডিয়ো পোস্ট করে স্বামীর অত্যাচারের কথা তুলে ধরতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কাঁদতে কাঁদতে তিনি ভিডিয়োতে বলেছেন, ‘‘সব কিছু সহ্য করেছি, ভেবেছি, এক দিন তিনি বদলে যাবেন। আট বছর হয়ে গেল। রোজ আর মার খেতে পারছি না।’’ যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
৪ অগস্ট আত্মহত্যা করেছেন মনদীপ। তার আগে ভিডিয়োতে স্পষ্ট অভিযোগ করেছেন, স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোক তাঁকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করছেন। বাবার কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন ছয় এবং চার বছরের দুই মেয়ের মা। উত্তরপ্রদেশের বিজনৌর থানায় মনদীপের স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন মনদীপের বাবা যশপাল সিংহ। মনদীপের স্বামী বা তাঁর পরিবার মুখ খোলেনি যদিও এ বিষয়ে।
২০১৫ সালে বিজনৌরের রণজোধবীর সিংহের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই জেলারই মনদীপের। দুই পরিবারের সম্মতিতে। তখন আমেরিকায় ট্রাক চালাতেন রণজোধবীর। মনদীপ একটি ভিডিয়োতে অভিযোগ করেন, এক বার পাঁচ দিনের জন্য তাঁকে নিজের ট্রাকে আটকে রাখেন রণজোধবীর। দেশে নিজের পরিবারকে সে কথা জানিয়েছিলেন। তখন থানায় অভিযোগ করেছিলেন মনদীপের পরিবার। কিন্তু পরে ঘুরে বসেন মনদীপই। সেই অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। ফলে ছাড়া পেয়ে যান মনদীপের স্বামী।