নবদম্পতির জন্য তলোয়ারের তোরণ তৈরি করেছেন সেনাবাহিনীর সহকর্মীরা। ছবি: টুইটার।
বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করাতে এলেন ভারতীয় নৌসেনাকর্তা। দেখা গেল, নবদম্পতির জন্য সহকর্মীরা অস্ত্র হাতে অপেক্ষা করছেন। প্রত্যেকের হাতেই ধারালো তলোয়ার। সেই তলোয়ার এড়িয়ে স্ত্রীকে নিয়ে যথাস্থানে পৌঁছতে শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা দিতে হল ওই নৌসেনাকর্তাকে। হাই জাম্প, পুশ আপ, এমনকি, হাত মুঠো করে ডন-বৈঠকও দিতে হল।
ঘটনাটির একটি ভিডিয়ো টুইটারে শেয়ার করেছেন শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কা। কলকাতা নিবাসী এবং আরপিজি গোষ্ঠীর চেয়ারপার্সন হর্ষ সামাজিক মাধ্যমে মাঝেমধ্যেই ভিডিয়ো পোস্ট করেন। এই ভিডিয়োটিও পোস্ট করে হর্ষ লিখেছেন, ‘‘ভিডিয়োর ওই সদ্যবিবাহিত নৌসেনাকর্তার নাম লেফটেন্যান্ট নীল। তাঁর স্ত্রীর নাম পার্বতী। এ ভাবেই বিয়ে করলেন তাঁরা। সশস্ত্র বাহিনীর তিনটি শাখা এই ভাবেই আপন করে নিল তাদের। দারুণ!’’
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, নবদম্পতির জন্য তলোয়ারের তোরণ তৈরি করেছেন সেনাবাহিনীর সহকর্মীরা। তবে এই তোরণ সাধারণ তোরণ নয়। একে পেরিয়ে প্রবেশ করতে হলে পরীক্ষা দিতে হয়। নৌসেনাকর্তা নীলকেও পরীক্ষা দিতে হয়েছে। তলোয়ারের ফটক পেরনোর সময় প্রতিমুহূর্তে একটি করে তলোয়ার নেমে এসেছে নৌসেনাকর্তার গলার কাছে। শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা দিয়ে সেই বাধা কাটাতে হয়েছে। প্রথম বার হাই জাম্প, দ্বিতীয় বার মুঠো হাতে ডন বৈঠক, শেষে পুশ আপ করতে হয়েছে তাঁকে। আর নীল যখন এই পরীক্ষা দিচ্ছেন, তখন পাশে দাঁড়িয়ে লাল শাড়িতে লজ্জায় লাল হয়ে হেসেছেন পার্বতী।
পোস্ট হওয়ার পর থেকে কয়েক লক্ষ বার দেখা হয়ে গিয়েছে ভিডিয়োটি। অবশ্য তলোয়ারের তোরণ তৈরি করে নবদম্পতিকে স্বাগত জানানোর রেওয়াজ নতুন নয়। সেনাবাহিনীতে তো বটেই, বিভিন্ন দেশে এই ভাবে সদ্যবিবাহিত দম্পতিকে স্বাগত জানানোর রীতি চালু রয়েছে।