ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।
‘নরখাদক’ উপজাতির সঙ্গে দেখা করতে ইন্দোনেশিয়ার গভীর জঙ্গলে ভ্রমণ করলেন ভারতীয় এক তরুণ। ধীরজ মীনা নামে পেশায় ভ্লগার ওই তরুণ কথাও বললেন ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া প্রদেশের কোরোওয়াই উপজাতির মানুষের সঙ্গে। জিজ্ঞাসা করলেন, তাঁরা কি সত্যিই মানুষের মাংস খান? উত্তরে উপজাতির এক সদস্য যা বললেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই হইচই পড়েছে। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে (যদিও ভাইরাল সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
ইন্দোনেশিয়ার প্রাচীন উপজাতি কোরোওয়াইরা ‘নরখাদক’ বলে পরিচিত। সেই উপজাতির সঙ্গেই দেখা করতে গিয়েছিলেন মীনা। মীনা জানিয়েছেন, বিমানে করে ইন্দোনেশিয়া পৌঁছনোর পর ১০ ঘণ্টা নৌকায় চেপে অনেকটা পথ অতিক্রম করেন তিনি। তার পর আরও চার ঘণ্টা ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে গিয়ে কোরোওয়াই উপজাতির সঙ্গে দেখা করেন। ইনস্টাগ্রামে মীনা লিখেছেন, “কোরোওয়াইরা অত্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস করেন। একটি ঐতিহ্যবাহী জীবনযাপন করেন তাঁরা। বেঁচে থাকার জন্য শিকার করতে হয়। প্রথা অনুযায়ী তাঁরা পোশাক পরেন না। পুরুষ এবং মহিলারা আলাদা বাড়িতে থাকেন।” কোরোওয়াই উপজাতির মানুষেরা মাটির উপরে গাছের ঘরে বাস করেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কোরোওয়াই উপজাতির মানুষদের সঙ্গে দেখা করার পর তাঁদের খাদ্যাভ্যাস নিয়েও কথা বলেন মীনা। মীনা ইনস্টাগ্রামে যে ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন সেখানে তাঁকে কোরোওয়াই উপজাতির এক সদস্যকে জিজ্ঞাসা করতে দেখা গিয়েছে, “আমরা শুনেছি যে কোরোওয়াই উপজাতির লোকেরা মানুষ খায়। এটা কি সত্যি? আপনারাও কি মানুষ খান?’’ উত্তরে ওই ব্যক্তি জানান, তাঁর বাবার প্রজন্মের লোকেরা ১৬ বছর আগে পর্যন্ত মানুষের মাংস খেতেন। তবে সেই প্রথা এখন আর নেই। তাঁকে আরও ব্যাখ্যা করতে দেখা গিয়েছে যে, কোরোওয়াইয়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি দল রয়েছে। অতীতে যখন দু’টি দল একে অপরের সঙ্গে লড়াই করত, তখন যুদ্ধে নিহতদের মাংস খাওয়া হত। তবে সেই অভ্যাসের ইতি হয়েছে। কোরোওয়াইরা আর মানুষের মাংস খায় না বলেই উপজাতির ওই সদস্য জানিয়েছেন।
ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই বহু বার দেখা হয়েছে। লাইক-কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে সংবাদমাধ্যম জুড়ে। অনেকে অনেক মন্তব্যও করেছেন।