মধ্যাহ্নভোজের সময়ে বন্ধ ব্যাঙ্কের দরজা। লন্ডনের সেই ভারতীয় ব্যাংকের শাখা। ছবি সংগৃহীত।
খাওয়ার জন্য বাঁচা না কি বাঁচার জন্য খাওয়া! খাস লন্ডনে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার শাখা প্রথম নীতিতে বিশ্বাসী। রোজ এসবিআই নিয়ম মেনে সকাল থেকেই গ্রাহক পরিষেবা শুরু করেন লন্ডনে। কিন্তু দুপুর ১২টা বাজতেই তাড়াহুড়ো পরে কাজ শেষ করার। চলে মধ্যাহ্নভোজের তোড়জোড়। লন্ডনের এক প্রবাসী ভারতীয় যুবক ঠিক এই সময়ে এসবিআইয়ে পৌঁছনোর পর তাঁর বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা টুইটারে জানিয়েছিলেন। সেই প্রতিক্রিয়া নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভারতের সরকারি দফতর বা আধা সরকারি ব্যাঙ্কে দুপুর বেলায় ‘লাঞ্চ আওয়ার’ হওয়া নতুন ঘটনা নয়। বিশেষ করে এসবিআইয়ের কর্মচারীদের এই নিয়মানুবর্তিতার বেশ নামডাক রয়েছে। তবে ওই ভারতীয় যুবক অবাক হয়েছেন খাস লন্ডনেও, কর্মব্যস্ত পরিবেশে ভারতীয় ব্যাঙ্ক তাদের ভারতীয়ত্ব পুরোদমে বজায় রেখেছে দেখে। টুইটারে অভয় নামের ওই যুবক ব্যাঙ্কের বন্ধ দরজার ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘ভারত নয়, লন্ডনের ভারতীয় ব্যাঙ্কের শাখা। দুপুর সাড়ে ১২টার সময় পুরোপুরি বন্ধ। কারণ, লাঞ্চ আওয়ার চলছে!’
লন্ডনের মতো ব্যস্ত শহরে কাজের সময়ে একটি ব্যাঙ্কের শাখার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা স্বাভাবিক নয়। এ দিকে ভারতীয় ব্যাঙ্কের কর্মচারীরা দুপুর ১২টার মধ্যাহ্নভোজের সঙ্গে আপস করতেও রাজি নন। দেশের প্রথা বিদেশেও পুরোদমে চালু রয়েছে দেখে, অভয় টুইটারে লিখেছেন, ‘দেশের সংস্কৃতির এমন নিখুঁত প্রতিনিধিত্ব দেখে গর্ব হচ্ছে’।
অভয় অবশ্য তার পর কী হয়েছিল, বা তিনি আদৌ ব্যাঙ্কে কখন ব্যাঙ্কে ঢুকতে পেরেছিলেন, তার বিশদ তথ্য জানাননি। তবে তাঁর টুইট দেখে লন্ডনের ওই এসবিআই কর্তৃপক্ষকে কটাক্ষ করেছেন অনেকেই।
টুইটার ব্যবহারকারীরা এক বাক্যে জানিয়েছেন, ভারতীয় ব্যাঙ্ক বিশ্বের যে প্রান্তেই থাক, নিজেদের স্বভাবচ্যুত হবে না কখনওই। তারা তাদের পরম্পরা, প্রতিষ্ঠান আর অনুশাসনের আদি তত্ত্ব নিজের মতো করে গুছিয়ে নেবে সর্বত্র।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।