—প্রতীকী ছবি।
খোদ সংস্থার ম্যানেজারেরই সিভি বাতিল। রেগেমেগে সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগের কর্মীদের ছাঁটাই করল সংস্থা। ম্যানেজারের কাছে অভিযোগ ছিল, সংস্থায় চাকরির আবেদন করার যে ট্র্যাকিং সিস্টেম (এটিএস) রয়েছে, তাতে ত্রুটি রয়েছে। আবেদনকারীদের আবেদনপত্র স্বয়ংক্রিয় ভাবেই বাতিল হয়ে যাচ্ছে বলে এমন অভিযোগ জমা পড়ছিল তাঁর কাছে। এটিএস হল চাকরির আবেদন বেছে নেওয়ার একটি বহুল ব্যবহৃত সফট্ওয়্যার। এর অত্যাধিক জটিল ফিচার কখনও কখনও সঠিক পর্যালোচনা ছাড়াই প্রার্থীদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি রেডিট নামের সমাজমাধ্যমে এই সংস্থার ম্যানেজার নিজের এই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সংস্থায় প্রায় তিন মাস ধরে নতুন নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে সংস্থার ম্যানেজার নিজেই কারণ অনুসন্ধান করতে শুরু করেন।
নাম ভাঁড়িয়ে অন্য নামে একটি আবেদন পাঠান নিজের সংস্থাতেই। তাতেই সমস্ত রহস্য খোলসা হয়ে যায়। তাঁর নিজের সিভিই বাতিল হয়ে যায় সিস্টেমে। এমনকি তাঁর সেই সিভি মানবসম্পদ বিভাগ খুলেই দেখেনি বলে জানিয়েছেন সংস্থার ম্যানেজার। এই সমস্যার কথা তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। এর পরেই মানবসম্পদ বিভাগের সব কর্মীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় বলে খবর। সংস্থার ম্যানেজার রেডিটে লেখেন, নতুন নিয়োগ নিয়ে সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগকে অনেকবার বলা হয়েছিল। বার বার জানানো হয় কোনও প্রার্থীই প্রাথমিক পরীক্ষার ধাপ পেরোতে পারেনি। এটি সম্পূর্ণ ভুল তথ্য ছিল। এই পোস্টটি সমাজমাধ্যমে নজর কেড়েছে। সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা মন্তব্য বিভাগে তাঁদের মতামত প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ সংস্থার নিয়োগকারী বিভাগকে ‘অলস’ বলে মন্তব্য করেছেন।