চলছে কেশবিন্যাস। দিল্লি মেট্রোর কামরায়। ছবি : টুইটার।
দিন তিনেক আগেই ফলাও করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন (ডিএমআরসি)। তাতে লেখা ছিল, ‘‘এমন কোনও কাজ যা সাধারণ মেট্রো যাত্রীদের অস্বস্তিতে ফেলতে পারে, তা দিল্লি মেট্রোর ভিতরে কোনও মতেই করা যাবে না।’’ তার ঠিক দিন দু’য়েকের মাথা। ভাইরাল হল দিল্লি মেট্রোর ভিতরে রেকর্ড করা আরও একটি ভিডিয়ো। তাতে দেখা গেল সহযাত্রীদের পরোয়া না করেই মেট্রোর ভিতরে কেশ বিন্যাসে ব্যস্ত এক তরুণী।
ভিডিয়োটি রেকর্ড করেছেন ওই তরুণীর কোনও এক সহযাত্রী। রেকর্ড করা ভিডিয়োয় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে দিল্লি মেট্রোর চলন্ত ট্রেনের কামরা। সেখানেই দাঁড়িয়ে মোবাইলে চার্জ দেওয়ার প্লাগ পয়েন্টে কেশ বিন্যাসের বৈদ্যুতিক যন্ত্রের সাহায্যে, চুলের পরিচর্জা করছেন তরুণী। তাঁর পোশাক দেখে বোঝা যাচ্ছে না তিনি অফিসে যাচ্ছেন নাকি কোনও অনুষ্ঠানে। তবে সাজগোজের জন্য তিনি দিল্লি মেট্রোর কামরাকেই বেছে নেওয়ায় নেটাগরিকদের কটাক্ষের শিকার হয়েছেন। কেশ বিন্যাসের ওই ভিডিয়ো টুইটারে পোস্ট করে এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘দিল্লি মেট্রোর ব্যাপারই আলাদা’’।
গত কয়েক মাসে নানা কারণে খবরে এসেছে দিল্লি মেট্রো। কখনও নামমাত্র পোশাকে মহিলা সহযাত্রী উঠে বসেছেন মেট্রোয়। আবার মেট্রোর ভিতরে ভিডিয়ো দেখতে দেখতে স্বমেহনে লিপ্ত এক তরুণকেও দেখেছেন দিল্লি মেট্রোর যাত্রীরা। প্রকাশ্যে চুম্বন এমনকি ঘনিষ্ঠ ভাবে আদরও করেছেন মেট্রো যাত্রী কিছু যুগল। যা নিয়ে বার বার অভিযোগ জানিয়েছেন মেট্রো যাত্রীরা। এ নিয়ে ডিএমআরসি বার বার সচেতন করার পরও কাজ না হয় শেষে গত শুক্রবার টুইটারে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ডিএমআরসি। ছোটদের ইংরেজি ছড়ার আদলে তাতে লেখাছিল— ‘‘জনি জনি! ইয়েস পাপা? মেকিং রিলস ইন মেট্রো? নো পাপা!’’ বিজ্ঞপ্তির বিবরণে দিল্লি মেট্রো লিখেছিল, ‘‘ওপেন ইয়োর ক্যামেরা, না না না!’’ আর শেষে তারা লিখেছিল ওই সাবধান বানী। কোনও মতেই যাত্রীর অস্বাচ্ছন্দের কারণ তৈরি করা যাবে না মেট্রোর কামরার ভিতরে। কিন্তু সেই বিজ্ঞপ্তিতেও যে কোনও কাজ হয়নি, তার প্রমাণ এই ভাইরাল ভিডিয়ো। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।