—প্রতীকী ছবি।
তিন বছর ধরে পাশের বাড়ির মেয়ের সঙ্গে প্রেম। প্রেমিকার বাড়ি ফাঁকা দেখে একান্তে সময় কাটাতে গিয়েছিলেন তরুণ। কিন্তু তখনই বিপত্তি বাধল। হঠাৎ চলে এলেন প্রেমিকার বাবা। প্রতিবেশী তরুণকে মেয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলেন। জুটল গ্রামের লোকেরাও। তার পর কী হল? এমনই একটি ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর গ্রামে। হামিরপুরের গ্রামের প্রতিবেশী এক তরুণ এবং তরুণী একে অপরকে ভালবাসেন গত তিন বছর ধরে। প্রায়শই একে অপরের সঙ্গে লুকিয়ে চুরিয়ে দেখা করতেন। রবিবার তরুণীর পরিবারের সবাই বাইরে গিয়েছিলেন। প্রেমিকার বাড়ি ফাঁকা দেখে সেখানে একান্তে সময় কাটাতে যান তরুণ। তখনই বিপত্তি বাধে। অপ্রত্যাশিত ভাবে তরুণীর বাবা বাড়ি ফিরে আসেন। অবিবাহিত যুগলকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন তিনি। মেয়ে এবং তাঁর প্রেমিককে একটি ঘরে বন্ধও করে দেন। তাঁর চিৎকারে ঘরের সামনে স্থানীয়দের ভিড় জমে যায়। খবরটি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম জুড়ে। শুরু হয় আলোচনা, সমালোচনা। হস্তক্ষেপ করেন গ্রামের প্রবীণেরা।
গ্রামের বয়ঃজেষ্ঠরা পরামর্শ দেন যে, তরুণ এবং তরুণীর বিয়ে দিয়ে দেওয়া উচিত। দীর্ঘ আলোচনার পর উভয়ের পরিবারই বিয়েতে সম্মত হয়। পুলিশও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে এবং উভয় পরিবারের কাছ থেকে লিখিত সম্মতি পাওয়ার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিয়ে হয় যুগলের। সেই খবরই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে। নেটপাড়ায় হইচই ফেলেছে সেই খবর।