শনিবার সলমনকে দেখা যায় মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্দের সঙ্গে। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডে তিনি ভাইজান, বন্ধুদের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েন অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করেই। আবার কারও সঙ্গে মতবিরোধ হলে নাকি ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন সলমন খান। ৫৯ বছর বয়সেও রুপোলি দুনিয়ার সব থেকে ‘যোগ্য’ অবিবাহিত পাত্র তিনি। এ দিকে তাঁরই মাথার উপর ঝুলছে মৃত্যুর ফাঁড়া। সেই কবে থেকে তাঁর প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে রেখেছে লরেন্স বিশ্নোই। বেশ কয়েক বার চেষ্টা হয়েছে সলমন ও তাঁর পরিবারের উপর হামলার। এমন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে অবশ্যই কোনও না কোনও ভাবে জড়িয়ে থাকবে রাজনীতি— প্রত্যক্ষে বা পরোক্ষে, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। এ বার সলমনের হাত ধরে নিজের কাছে টেনে নিলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্দে।
‘যক্ষ্মামুক্ত ভারত’-এর বিশেষ প্রচার অভিযানে একনাথ শিন্দের সঙ্গে সলমন খান। ছবি: সংগৃহীত।
বিজেপি শরিক শিবসেনার প্রধান নেতা একনাথকে শনিবার দেখা গিয়েছিল মুম্বইয়ের এমসিএ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সেখানেই রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে অভিনেতারা নেমেছিলেন এক বন্ধুত্বপূর্ণ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায়। উদ্দেশ্য যক্ষ্মা সচেতনতা প্রচার। ‘যক্ষ্মামুক্ত ভারত’-এর লক্ষ্যে এই বিশেষ অভিযানে অতিথি হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন সলমনও। এ দিকে তাঁর নতুন ছবি ‘সিকন্দর’ মুক্তির প্রহর গুনছে। কিন্তু নিরাপত্তার কথা ভেবে তেমন ভাবে সশরীরে প্রচার করতে পারছেন না ভাইজান। তবে সরকারি এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। আর সেখানেই তাঁকে ঘিরে উন্মাদনা। তবে সামান্য কিছু অনুরাগীই নাগাল পেলেন সলমনের। তাঁরা কাছে গিয়ে সই সংগ্রহও করেছেন।
কিন্তু দূরে থাকতে পারলেন না একনাথ। ছবিশিকারি ও সংবাদমাধ্যমের সামনে একসঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা। তবে খানিক দূরত্ব ছিল সলমন ও শিন্দের মধ্যে। একসময় তাঁর হাত ধরে কাছে টেনে এনে ছবি তোলান উপমুখ্যমন্ত্রী। সমলন খানিক হকচকিয়ে যান, দেখা যায় ভাইরাল ভিডিয়োয়। সলমন ছাড়াও ওই প্রতিযোগিতায় অতিথি হয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা অর্জুন কপূর, অর্জুন রামপাল, সাংসদ সুপ্রিয়া সুলেও।