—প্রতীকী ছবি।
পিসির সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন তরুণী। পড়াশোনার ফাঁকে ভাইঝি যেন অন্য রকম আনন্দ করার সুযোগ পান, তাই তাঁকে খেলার ছলে একটি ‘ডিএনএ কিট’ উপহার দিয়েছিলেন পিসি। উপহার পেয়ে বেজায় খুশি হয়েছিল তরুণী। কিন্তু সেই কিট দিয়ে ডিএনএ পরীক্ষা করতেই মানসিক দিক দিয়ে ভেঙে পড়লেন তিনি। প্রকাশ্যে এল এক ভয়ঙ্কর সত্য।
তরুণী নাম-পরিচয় উল্লেখ না করে রেডিটের পাতায় পোস্ট করে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান। তরুণী জানান যে, ছুটি কাটাতে পিসির বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। মজার ছলে তরুণীর হাতে একটি ডিএনএ কিট ধরিয়ে দেন তাঁর পিসি। সময় কাটাতে হঠাৎ এক দিন সেই কিট নিয়ে ডিএনএ পরীক্ষা করে ফেলেন তরুণী। তার পরেই এক গোপন সত্য ধরা পড়ে তাঁর কাছে। বাবা-মা এবং বোনের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকেন তিনি। কিন্তু এত বছর একসঙ্গে থাকার পরেও তিনি জানতে পারেননি যে, তিনি যাঁকে এত দিন বাবা বলেই ডেকেছেন তিনি তাঁর আসল পিতা নন।
ডিএনএ পরীক্ষা করে তা জানতে পেরে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। বাবা-মাকে সরাসরি সেই প্রশ্ন করেন তরুণী। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে তরুণীর পিতা জানান যে, তিনি আসল পিতা নন। এক শুক্রাণুদাতার সূত্রে তরুণীর জন্ম দিয়েছেন তাঁর মা। খোঁজ নিয়ে তরুণী জানতে পারেন যে, তাঁর আরও দশ সৎভাই-বোন রয়েছে। এমন অবস্থায় কী করবেন বুঝতে না পেরে সমাজমাধ্যমের পাতায় এই অভিজ্ঞতার কথা লিখে জানিয়েছেন তিনি। নেটাগরিকদের একাংশ তরুণীর প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘‘আপনার পিসি আগে থেকেই সব কিছু জানতেন। ইচ্ছা করেই আপনাকে ডিএনএ কিট উপহার দিয়েছিলেন যেন আপনিও গোপন সত্য জানতে পারেন।’’