ছবি: সংগৃহীত।
চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল নিজের চেহারা। তাই ভোল বদলাতে অসহ্য যন্ত্রণার মুখোমুখি হলেন এক চিনা তরুণ। ২৪ বছর বয়সি, জিয়াওলং নামের ওই যুবক সারা গায়ে, মাথায় উল্কি আঁকিয়েছিলেন। সে কারণে তাঁকে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়। বিশেষত পেশাগত জীবনে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল তাঁকে। চিনা আইন অনুযায়ী দেশের ক্রীড়াবিদ এবং কিছু পেশায় উল্কি করা নিষিদ্ধ। এ ছাড়া প্রথাগত ভাবে চিনারা উল্কি করাকে অনুচিত বলে মনে করেন। যাঁদের দেহে এই ধরনের নকশা থাকে তাঁদের অনেক সময় সামাজিক ভাবে বয়কট করা হয়।
২০১৮ সালে সারা শরীর উল্কি দিয়ে ঢেকে ফেলেছিলেন জিয়াওলং, বাদ যায়নি খুলিও। মাথা, ঘাড়, বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, এমনকি তাঁর বাম চোখেও রয়েছে কালো উল্কির নকশা। সে কারণে চাকরির জায়গায় তাঁকে চিহ্নিতকরণে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়াও সমাজমাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সময় তাঁর দিকে উড়ে এসেছে নানা অপমানজনক মন্তব্য। গত ছয় বছরে জিয়াওলং ও তাঁর পরিবারকে এ জন্য বহু সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে বলে নিজেই জানিয়েছেন ওই তরুণ।
ঘরে বাইরে জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠায় বাধ্য হয়ে জিয়াওলং শরীর থেকে সমস্ত নকশা মুছে ফেলার বিষয়ে উদ্যোগী হন। কাজটি মোটেই সহজ ছিল না। সাংহাই শহরে খুলি থেকে উল্কি অপসারণ করতে গিয়ে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন তরুণ। একই সঙ্গে বুকেও যন্ত্রণা শুরু হয়ে যায় তাঁর। মাঝপথেই থামিয়ে দিতে হয় উল্কি মোছার প্রক্রিয়া। যে ব্যক্তি জিয়াওলংয়ের শরীর থেকে উল্কি তুলেছিলেন তিনি বলেন, তাঁর কাছে কাজটি কঠিনতম ছিল। জিয়াওলং জানিয়েছেন, তিনি অনুতপ্ত। আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে চান তিনি।