মজাদার মেনু কার্ড বানিয়েছে এক রেস্তোরাঁ। ছবি: সংগৃহীত।
খাবারের নাম শুনে হঠাৎ রিনা ব্রাউনের কথা মনে পড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে সপ্তপদীর সেই গানের দৃশ্য, যেখানে "এই পথ যদি না শেষ হয়…" গাইতে গাইতে বাইকারোহী নায়ক উত্তম আর তাঁর নায়িকা 'রিনা' সুচিত্রা ব্রাউন পরস্পরকে বলেই চলেছেন "তুমিই বল, না না তুমি বলো, না তুমি বলো... " ইত্যাদি। রেস্তরাঁর টেবিলে খাবারের অর্ডার করতে বসেও খানিকটা এমনই দশা হয় অনেকের। অর্ডার নিতে হাজির রেস্তরাঁ কর্মী। অথচ অতিথিরা কিছুতেই ভেবে উঠতে পারেন না, কী খাবেন। ফলে উপস্থিত সকলে একে অপরের দিকে ঠেলতে থাকেন মেনু চার্ট। অতিথিদের এই ব্যবহারের কথা মাথায় রেখেই এক মজাদার মেনু কার্ড বানিয়েছে এক রেস্তরাঁ। সেই মেনু কার্ডের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, এমপি'জ কিচেন নামে ওই রেস্তরাঁয় বসে কোনও এক ক্রেতা খাদ্যতালিকার পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে এসে থামছেন এক বিশেষ বিভাগে। এমপি'জ কিচেন স্পেশাল শীর্ষক সেই বিভাগে প্রত্যেক খাবারের নামই অদ্ভুত। কোনওটায় লেখা 'অ্যাজ ইউ উইশ' তো কোনওটার নাম 'যো ভি হো' বা 'কুছ ভি'। আবার সুচিত্রা-উত্তমের মতো তুমি বলো, না না তুমি বলো (হিন্দিতে মেনু তে লেখা 'তুম বোলো', 'নেহি নেহি তুম বোলো') নামের খাবারও আছে!
রেস্তোরাঁর সেই মেনু চার্ট। সংগৃহীত।
অদ্ভুত নামের ওই সব খাবারের কোনওটির এক প্লেটের দাম ৩৫০টাকা। কোনওটির মূল্য ২৮০টাকা। তবে বাকিটা রহস্য। ওই প্লেটে সাজিয়ে কী আসবে সে বিষয়ে একটি শব্দও খরচ করা হয়নি মেনু কার্ডে। মনে হতেই পারে, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা ক্রেতাদের তাদেরই অস্ত্রে জব্দ করার এই ব্যবস্থা।
রেস্তরাঁটি ছত্তীসগঢ়ে। নাম এমপি'জ কিচেন। সেখানে অবশ্য পরিচিত নামের খাদ্যতালিকাও রয়েছে। যা দেখে সহজেই বুঝে ফেলা যায় প্লেটে ঠিক কী আসতে চলেছে। তবে সে সব সাধারণের জন্য। রেস্তরাঁয় বসে কিছুতেই মনস্থির করতে না পারা অসাধারণদের জন্য রয়েছে এমপি'জ কিচেনের বিশেষ সপ্ত পদ।