ছবি: সংগৃহীত।
মৃত প্রজাপতির দেহকে পিষে জলের সঙ্গে মিশিয়ে ইঞ্জেকশন নিয়ে বেঘোরে প্রাণ হারাল ১৪ বছরের এক কিশোর। মর্মান্তিক সেই ঘটনা ঘটেছে ব্রাজ়িলে। সেই ইঞ্জেকশন নেওয়ার পর সারা শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে কিশোরের। এক সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর মারা গিয়েছে ডেভি নুনেস মোরেরা নামের সেই কিশোর। নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, কয়েক দিন আগে ডেভির বমি শুরু হয় এবং ভিটোরিয়া ডি কনকুইস্তার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানেই মারা যায় সে। একটি অনলাইন চ্যালেঞ্জের সঙ্গে এর সম্ভাব্য যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।
প্রথমে ডেভির বাড়িতে শারীরিক সমস্যার কারণটি প্রকাশ করেনি। সে তার বাবাকে বলেছিল খেলার সময় সে নিজেই ব্যথা পেয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় শেষে সে স্বীকার করে তার ডান পায়ে প্রজাপতির দেহাবশেষ দিয়ে ইঞ্জেকশন দিয়েছিল। সেই সিরিঞ্জটি ডেভির বাবা তার বালিশের নীচে উদ্ধার করে। প্রজাপতির দেহাবশেষে থাকা বিষাক্ত পদার্থের কারণে ডেভির মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তার শরীরে সেপটিক শক দেখা দিয়েছিল। কিশোরটি তার শরীরে কী ধরনের প্রজাপতির দেহ ঢুকিয়েছিল তা চিকিৎসকেরা শনাক্ত করতে পারেননি। তাদের অনেকের ধারণা এক ধরনের প্রজাপতি রয়েছে যারা শুঁয়োপোকা থাকার হিসাবে মিল্কউইড খায়। তাতে একটি বিষাক্ত বিষ থাকে। সেই বিষটি কিশোরের শরীরে প্রবেশ করেছিল কি না তা নিশ্চিত করতে পারেননি চিকিৎসকেরা।
হাসপাতালের এক জন বিশেষজ্ঞের অনুমান, কিশোরটি ‘এমবোলিজ়ম’ ও সংক্রমণ বা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ায় ভুগছিল। তিনি বলেন ‘‘আমরা জানি না সে কী ভাবে এই মিশ্রণটি তৈরি করেছিল বা শরীরে কতটা তরল ঢোকাতে পেরেছিল।’’ সিরিঞ্জের ভেতরের বাতাসটি ঠিকমতো না বার করলে সেই বাতাস শরীরে ঢুকে থাকতে পারে। একেই বলে ‘এমবোলিজ়ম’। অপটু হাতে ইঞ্জেকশন নিতে গিয়ে রক্তনালিতে বাতাস ঢুকে মৃত্যু হতে পারে কিশোরের। সমাজমাধ্যমে দেওয়া কোনও চ্যালেঞ্জে অংশ নিতে গিয়ে কিশোরটি দেহে প্রজাপতির দেহের রস ঢুকিয়েছিল কি না তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।