ছবি: সংগৃহীত।
ছোট্ট শুঁড় দুলিয়ে মাথা এদিক ওদিক নেড়ে লাল ধুলোর মধ্যে লুটো পুটি খাচ্ছিল সে। আলগা মাটির বিছানায় গুঁজে দিচ্ছিল মাথা। তবু ধৈর্য্য ধরে তার গায়ে সোনালি তরল ঢেলে দিচ্ছিলেন তাঁর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা মানুষটি। যত্নের হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলেন সারা গায়ে। সেই হাতের ছোঁয়া পেতে সে কখনও বাড়িয়ে দিচ্ছিল পিঠ কখনও নীচু করে নিচ্ছিল মাথা। আদর করা হাতটিও সেই অনুরোধ ফেরাচ্ছিল না। সমাজমাধ্যমে এমনই একটি দৃশ্যের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে।
আসলে ওই ভিডিয়ো মনে করিয়ে দিয়েছে আরও এক এমনই আদুরের কথা। তার নাম রঘু। আসলে এক অনাথ হাতি। বাড়ি কর্নাটকের সীমান্তবর্তী মুদুমালাই অভয়ারণ্যে। ছোট্ট কর্মীকে লালন পালন করেছেন সেখানকার দুই বনকর্মী। তাঁদের গল্প নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র এ বছর জিতে নেয় অস্কারের সেরা তথ্য চিত্রের পুরস্কার। ভাইরাল ভিডিয়োটিও একটি ছোট্ট হাতি এবং তাঁর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা এক কর্মীর। এই হাতিটিও অনাথ তবে তার ‘বাড়ি’ কেনিয়ায়। শেলড্রিক ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানে রয়েছে সে। ভিডিয়োটি পোস্ট করেছে তারাই।
ভিডিয়োয় শেলড্রিক জানিয়েছে, সম্প্রতিই তাদের শিশু হাতিদের রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র কালুকুতে আনা হয়েছে হাতিটিকে। সেখানে তার দেখভালের দায়িত্বে থাকা যুবক হাতিটির স্বাস্থ্য স্নানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলন। ভিডিয়োটি সেই সময়েরই। স্নানের আগে হাতিটির ত্বক তরতাজা এবং আর্দ্র রাখার জন্যই তেল মালিশ করে দিচ্ছিলেন তিনি। যা উপভোগ করতে করতে দু’জনের মধ্যে একটি মানসিক বাঁধনও তৈরি হচ্ছিল বলে জানিয়েছে তারা।