সম্পাদনা: সৈকত
২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভার ভোট। ভাগ্য নির্ধারন হবে দেশের ১৫টি রাজ্যের ৫৬জন প্রার্থীর। তার মধ্যে রয়েছে বাংলার ৫। রাজ্যে ৪টি আসনে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। একটি আসনে জয়ী হওয়ার জোড়াল সম্ভাবনা রয়েছে বিজেপির। সূত্রের খবর, এই একটি আসনে ‘নিজের প্রার্থী’কে জিতিয়ে আনতে মরিয়া চেষ্টা করছেন বিধানসভায় বিজেপির পরিষদীয় দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্যসভায় শুভেন্দুর ‘প্রার্থী’ প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ। অন্যদিকে সঙ্ঘ পরিবার চাইছে অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে বাংলা থেকে রাজ্যসভায় পাঠানো হোক। অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় বিপ্লবী পরিবারের সদস্য। অরবিন্দ ঘোষের রাজনৈতিক সহকর্মী উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাতি অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। দর্শন, ইতিহাস ছাড়াও সঙ্গীতের মতো বিষয়ে লেখাপড়া রয়েছে তাঁর। অনর্গল বলতে পারেন ইংরেজি, সংস্কৃত, বাংলা। বর্তমানে তিনি ‘ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং ইতিহাসে সভ্যতা’— এই বিষয়ের একজন ‘স্কলার’। কেন্দ্রের শিক্ষা মন্ত্রকের একাধিক কমিটিতে উপদেষ্টা হিসাবেও রয়েছেন তিনি। ২০২১ সালে বোলপুর-শান্তিনিকেতন আসন থেকে তাঁকে প্রার্থী করে বিজেপি। দলের ভোট বাড়লেও তিনি জিততে পারেননি। এ বার এই ‘শিক্ষিত’ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে লোকসভা ভোটের আগে নিজেদের ভাবমূর্তি পরিবর্তনের চেষ্টায় বিজেপির একাংশ। এর আগে তাঁর একবার রাজ্যসভায় প্রার্থী হওয়ার সম্ভবনা তৈরি হলেও শেষ মুহূর্তে সেই জায়গায় মনোনীত হন ‘মহারাজা’ অনন্ত রায়।
ভারতী ঘোষ এবং অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় ছাড়াও বঙ্গ বিজেপির অন্দরে জল্পনা চলছে আরও দু’টি নাম নিয়ে। একটি অবশ্যই জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক যে রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন, সে খবর ৩০ জানুয়ারি প্রকাশ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। শেষ নামটি হল, রথীন্দ্র বসু। ২০২৩ সালের রাজ্যসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপির ‘ডামি’ প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য দলীয় নির্দেশেই নিজের নাম তুলে নেন রথীন্দ্র বসু। শেষ পর্যন্ত এই চারজনের মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়া হল কি না বা অন্য কোনও নামের ‘চমক’ আসছে কি না— সে দিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।