প্রতিবেদন ও চিত্রগ্রহণ: প্রিয়ঙ্কর, সম্পাদনা: বিজন
কলেজ স্ট্রিট বাটা-র পাশ দিয়ে আমহার্স্ট স্ট্রিট যাওয়ার পথে, সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটের নব যুবক সংঘের বারোয়ারি শ্যামাপুজো। তবে দীর্ঘ ছয় দশকের পুরনো এই কালীপুজোকে অনেকেই হয়ত ক্লাবের নামে চিনতে পারবেন না। সারা কলকাতা এই পুজোকে ‘ফাটাকেষ্টর কালীপুজো’ বলেই চেনে। সেই সত্তর দশকে পুজোর শুরু। থিমের বাহুল্য নেই, কালীপ্রতিমাও সাবেকি ঢঙে। হাতে কৃষ্ণচন্দ্র দে ওরফে ফাটাকেষ্টর দেওয়া রুপোর খাঁড়া আর রুপোর নরমুণ্ড। এক সময়ে গলিতে রাস্তার উপরেই দেবীর আসন বসত। বহু বছর আগেই ভিড় সামলাতে প্যান্ডেলের নকশায় বদল আসে। তখন থেকেই উঁচু মাচার উপরে অধিষ্ঠান করেন শ্যামা, আর নীচে, প্যান্ডেলের ভিতর দিয়ে গলিপথ দিয়ে যাতায়াত করেন পাড়ার মানুষ। ৬৫ বছর পার করে এখনও ফাটাকেষ্টর পুজোকে ঘিরে অটুট নানা মিথ। পুজোর বর্তমান কর্ণধার প্রবন্ধ রায় (ফান্ডা) শোনালেন পুজোর সময় দর্শনার্থীদের মধ্যে অনেকের ‘ভর’ হওয়ার গল্প। মিথ শুধু এই কালীপুজোকে ঘিরেই নয়, এত বছর পেরিয়েও এই পুজোর পথিকৃৎকে নিয়ে লোকের কৌতূহলের শেষ নেই। ফাটাকেষ্ট আসলে কে ছিলেন? ফাটাকেষ্টর কালী আর স্বয়ং ফাটাকেষ্ট— ফেলে আসা কলকাতার ‘মিথোলজি’ চর্চায় আনন্দবাজার অনলাইন।