প্রচার শেষ। ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ছয় বিধানসভায় উপনির্বাচন। কোচবিহারের সিতাই, আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট, বাঁকুড়ার তালড্যাংরা, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর-সহ উত্তর ২৪ পরগনার দুই বিধানসভা নৈহাটি এবং হাড়োয়ায় ভোট। চব্বিশের লোকসভায় জিতে সাংসদ হয়েছেন রাজ্যের ছয় বিধায়ক। শূন্য আসনে তাই ফের ভোট। একুশের বিধানসভায় মাদারিহাট ছাড়া বাকি ৫ কেন্দ্রেই জয়ী হয় তৃণমূল। নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুরের মতো বিধানসভায় তৃণমূল পেয়েছে ৫০ শতাংশের উপরে ভোট। সিতাই আর তালড্যাংরায় তৃণমূল পায় ৪৫ শতাংশেরও বেশি ভোট। একমাত্র মনোজ টিগ্গার বিধানসভা মাদারিহাটেই দ্বিতীয় হয় শাসক দল। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ৩৭ শতাংশ।
শেষ বার রাজ্য দখলের লড়াইয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গেই জয়ের হ্যাটট্রিক করে তৃণমূল। দ্বিতীয় শক্তি হিসাবে বিজেপির উত্থান হলেও বিধানসভা থেকে নিশ্চিহ্ন হয় বাম এবং কংগ্রেস। শাসকের সাফল্যের নেপথ্যে কাজ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একগুচ্ছ মহিলামুখী প্রকল্প। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেই ফুলে ফেঁপে ওঠে তৃণমূলের ভোট ভাণ্ডারও। শহর এবং গ্রামের মহিলা হাত উজাড় করে ভোট দয়ে তৃণমূলকে। যার অনেকটা প্রতিফলন দেখা যায় লোকসভা ভোটেও। ২৯টি আসন পায় তৃণমূল। এরই মধ্যে রাজ্যে আরজি কর-এর খুন এবং ধর্ষণের ঘটনা। উত্তাল হয় শহর, নগর, জেলা, রাজ্য, দেশ। মেয়েদের রাত দখল থেকে শুরু করে নাগরিক আন্দোলন, উৎসবের মধ্যেই দ্রোহের সামনে পড়েন হন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার এই পরিস্থিতেই ভোটের কার্নিভাল। কলকাতার আন্দোলনের আঁচ কি পড়বে গ্রামেও?
তৃণমূলের একাংশ আত্মবিশ্বাসী। জেতা আসনে জয় নিশ্চিত। ছাব্বিশের লোকসভার আগে ৬-০ ব্যবধানেই অ্যাসিড টেস্ট দিতে নামছে তৃণমূল। অন্য দিকে গড় রক্ষায় চেষ্টার খামতি রাখেনি বিজেপি। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভাঙলেও নাগরিক আন্দোলনকে হাতিয়ার করে এক হয়েছে বাম এবং অতিবামের মতো দল। কী হবে ফল, জানা যাবে ২৩ নভেম্বর।