প্রতিবেদন: শ্রাবস্তী, সম্পাদনা: অলোক
দেখতে দেখতে ৩ বছর। ১০৯৫ দিন পেরিয়ে আরও বৃহত্তর পরিসরে সামাজিকতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যাদবপুর শ্রমজীবী ক্যান্টিন। ২০২০ সালের অতিমারিতে শুরু। প্রথমে বিনা পয়সায় খাবার বিলি। তারপর ন্যূনতম ‘সহায়ক’ মূল্য ধার্য্য করে সমাজব্রতে নিয়োজিত হওয়া। করোনা এবং লকডাউন পরিস্থিতি বাম ছাত্রযুবদের হাত ধরে শুরু হলেও পরবর্তী কালে এই ক্যান্টিনের সঙ্গে যুক্ত হন পড়শিরাও। সিপিএমের কলকাতা জেলার নেতা কৌস্তভ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “খুব যে বিরাট পরিকল্পনা করে আমাদের অল্পবয়সি কমরেডরা শ্রমজীবী ক্যান্টিন শুরু করেছিলেন, তেমনটা নয়। ভোটের কথা না ভেবেই পরিযায়ী শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, লকডাউনে আটকে পড়া শ্রমজীবী মানুষ, রিক্সাওয়ালা, অটোচালক, ভ্যানচালকদের খাবার দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই ক্যান্টিন শুরু হয়েছিল। প্রথম ১৫-২০ দিন বিনা পয়সায় খাবার দেওয়ার পর একটা মডেল নিয়ে আসা হল, ২০ টাকায় খাবার। সেটাই চলছে।” সিপিএমের রাজ্য কমিটির সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের কথায়, “প্রয়োজনের সঙ্গে পরিষেবাও পাল্টায়। যখন সমাজকে আত্মকেন্দ্রিক করা হচ্ছে তখন তাকে সমাজকেন্দ্রিক করতে হবে।”