প্রতিবেদন: প্রচেতা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান, কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে এসে ‘খুশি’ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। দু’দিনের বঙ্গ সফরের প্রথম দিনে নেতাজি ভবন পরিদর্শনের পরই জোড়াসাঁকোতে আসেন তিনি। সেখানে তাঁকে তিনটি কক্ষ ঘুরে দেখানো হয়। যে কক্ষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম হয়েছিল, যে কক্ষে জীবনের শেষ কটা দিন কাটিয়েছিলেন বিশ্বকবি এবং অতিথিদের সঙ্গে যে ঘরে তিনি সাক্ষাৎ করতেন— রবীন্দ্রভারতী প্রদর্শশালার এই তিনটি ‘গ্যালারি’ দেখেই অভিভূত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। প্রদর্শশালায় অতিথিদের জন্য রাখা নোটবুকে নিজের ভাল লাগার কথাও ব্যক্ত করেছেন দেশের প্রথম নাগরিক। কী লিখেছেন তিনি? রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্মাল্যনারায়ণ চক্রবর্তীর কথায়, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত জোড়াসাঁকোতে আসতে পেরে অত্যন্ত খুশি। বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথের ব্যবহৃত আসবাবপত্র যে ভাবে সংরক্ষিত হয়েছে, তাতে তিনি অভিভূত। তিনি জানতে চেয়েছেন, জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ির ইতিহাস। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁর অনুরোধ, যে ভাবে ইতিহাস সংরক্ষণের কাজ হয়েছে, তা যেন আগামীতেও বজায় থাকে। রবীন্দ্রভারতীর তরফে রাষ্ট্রপতিকে উপহার হিসাবে তুলে দেওয়া হয়েছে চিত্রকর রবীন্দ্রনাথের একটি ছবি এবং বিশ্ববিদ্যালয়েরই কয়েকটি প্রকাশনা।