২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী জোট তৈরিতে তৎপর তৃণমূল। গত সপ্তাহেই কালীঘাটে এসেছিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই আবার ওড়িশা যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পুরীর জগন্নাথ মন্দির দর্শন করার পর অতিথিশালা তৈরির জন্য জমি দেখার কথাও রয়েছে তাঁর। যদিও নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা হওয়ার কথা অস্বীকারই করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ নিছকই ‘সৌজন্য’। আবার, কুমারস্বামীর সঙ্গে যে তাঁর বৈঠক হবে, সে কথা নিজ মুখেই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ওড়িশা যাওয়ার আগে কেন্দ্রীয় ‘বঞ্চনা’ নিয়েও সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি-র ‘একতরফা’ ভূমিকার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, কেন কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে একশো দিনের বকেয়া টাকা দিচ্ছে না, তার প্রতিবাদে ২৯ থেকে ৩০ মার্চ ২ দিনের ধর্না কর্মসূচিরও ঘোষণা করেন তিনি। আম্বেদকর মূর্তির সামনে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেই ধর্নায় বসবেন, ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অন্যদিকে, মমতার এই ধর্না কর্মসূচির সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিন্হা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বেকায়দায় পড়ে আম্বেদকর মূর্তির সামনে ধর্নায় বসছেন। মানুষের মনে এই ধর্না কোনও রেখাপাতই করবে না।”