Atiq Ahmed

পুলিশি ঘেরাটোপে হাতকড়া পরা অবস্থায় গুলিতে ঝাঁঝরা আতিক, আততায়ীদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’

স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য কড়া পুলিশি পাহারায় প্রয়াগরাজ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হচ্ছিল উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই আশরফকে। হাসপাতাল চত্বরেই খুন হন দু’জন।

সংবাদ সংস্থা
প্রয়াগরাজ শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:২৭
Share:
Advertisement

শনিবার রাতে হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে আসার সময়ে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই আশরফ। উমেশ যাদবকে খুনের অভিযোগে জেলবন্দী ছিলেন দুই ভাই। শনিবার রাত ১০টার সময় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পুলিশের গাড়ি থেকে নামিয়ে তাঁদের হাতকড়া পরা অবস্থায় হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাঁদের ঘিরে ছিলেন পুলিশকর্মীরা। পুলিশের নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন আতিক ও তাঁর ভাই। আচমকাই তাঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি করে এক আততায়ী। গুলি করা হয় আশরফকেও। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই চিৎকার করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেন আততায়ীরা।

রবিবার দুপুরে প্রয়াগরাজের হাসপাতালে আতিক আহমেদ এবং আশরাফ আহমেদের দেহের ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষ হলে পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হবে। আতিকের পৈতৃক ভিটে কসারি মসারি গ্রামের কবরস্থানে শেষকৃত্য হবে আতিক, আশরাফের। গোটা উত্তরপ্রদেশে ১৪৪ ধারা করেছে রাজ্য সরকার। প্রয়াগরাজে বেশ কিছু জায়গায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবাও।

Advertisement

উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই যোগীর পুলিশের সঙ্গে ‘এনকাউন্টারে’ মৃত্যু হয়েছিল আতিক-পুত্র আসাদ ও তাঁর সঙ্গী গুলামের। উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ছিলেন তাঁরাও। আতিক-আশরফ হত্যার ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন তিন জন। জানা গিয়েছে, ঘটনার প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষ করে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট লখনউ থেকে গিয়েছে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। যদিও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এখনও চুপ শাহের মন্ত্রক। এই ঘটনার সূত্র ধরেই বিজেপিকে আক্রমণ করতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
সর্বশেষ ভিডিয়ো
Advertisement