প্রতিবেদন: সারমিন, সম্পাদনা: ঋতুরাজ
সংবাদ শিরোনামে আসার ৪৮ ঘণ্টা পর, এই প্রথম সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি নিয়োগকাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলের ‘ঘনিষ্ঠ’ শ্বেতা চক্রবর্তী। ২০১৬-১৭ সাল থেকে অয়নের সঙ্গে আলাপ, ডুমুরদহ গ্রাম পঞ্চায়েতে একসঙ্গে কাজও করেছেন, আনন্দবাজার অনলাইনের সওয়ালে জবাব শ্বেতা চক্রবর্তীর। স্বীকার করলেন অয়ন শীলের থেকে গাড়ি নেওয়ার কথাও। আনন্দবাজার অনলাইনকে শ্বেতা বলেন, অয়ন ঘোষের প্রযোজনায় ‘কাবাড্ডি কাবাড্ডি’ সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু কোনও পারিশ্রমিক তিনি নেননি। বদলে বিলাসবহুল হন্ডা সিটি গাড়ি শ্বেতাকে ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন অয়ন। সিনেমায় কাজ এবং গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে অয়ন শীলের সঙ্গে কোনও চুক্তি হয়েছিল? শ্বেতার উত্তর, তিনি মনেই করতে পারছেন না। তবে সিনেমার জন্য অয়ন শীলের ফ্ল্যাটে যাতায়াতের কথা তিনি স্বীকার করেছেন। শ্বেতার বক্তব্য, “সিনেমার বিষয়ে কথা বলতেই ফ্ল্যাটে গিয়েছি।” তবে মামা-ভাগ্নি পরিচয়ে একসঙ্গে থাকার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। এমনকি, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত দুই বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেনেন না বলেও জানিয়েছেন শ্বেতা।
সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়িয়ে বিপাকে পড়েছেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। চুক্তি না করে টাকা নেওয়ার খেসারত দিয়েছেন বনি। কুন্তল ঘোষের দেওয়া ৪০ লক্ষ টাকা ফেরাতে হয়েছে তাঁকে। শ্বেতাও কি তাই করবেন? অয়ন-ঘনিষ্ঠ কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারের উত্তর, “গোটা বিষয়টা এখন তদন্তসাপেক্ষ। ইডি বললে, আদালত বললে পারিশ্রমিক ফেরাতে হলে নিশ্চয়ই ফেরাব।”